Advertisement
Advertisement
RG Kar Protest

বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ধর্মতলায় ধরনায় বসলেন শোভন, অবস্থানে সোহিনী, স্বস্তিকা, বিদীপ্তা-বিরসারাও

সেই মহামিছিল থেকেই সোহিনী সরকারের হুঙ্কার, "এই থ্রেট কালচার বন্ধ না হওয়া অবধি আন্দোলন চলবেই।" অন্যদিকে গায়ক তথা সোহিনীর স্বামী শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ও এদিন ধর্মতলায় ধরনায় বসলেন। ধর্মতলার রাস্তায় সেই ধরনাতেই দেখা গেল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তিলোত্তমার জন্য বিচার চাইতে শোভন-সোহিনীকে।

Sovan Ganguly, Sohini Sarkar calls for protest till judgement
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:September 1, 2024 8:11 pm
  • Updated:September 1, 2024 9:48 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের ২১ দিন পার। তবুও ন্যায়বিচার অধরা। সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার। তবুও নতুন কোনও কিণারার হদিশ নেই। সাধারণ মানুষ থেকে সেলেব, সকলকেই এই যন্ত্রণা যেন কুরে কুরে খাচ্ছে! নিত্যদিন কলকাতার বুকে উঠছে ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’ ধ্বনি। রবিবার ছুটির দিনেও বিশ্রাম নেননি মানুষ। নাগরিক মিছিলে সমবেত স্বরে ন্যাবিচার চাইছেন সকলে। সেই মহামিছিল থেকেই সোহিনী সরকারের হুঙ্কার, “এই থ্রেট কালচার বন্ধ না হওয়া অবধি আন্দোলন চলবেই।” অন্যদিকে গায়ক তথা সোহিনীর স্বামী শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ও এদিন ধর্মতলায় ধরনায় বসলেন। এবং বিচার না পাওয়া পর্যন্ত যে এই ধরনা চলবেই, তা আগেভাগেই ঘোষণা করে দিলেন তিনি।

সোশাল মিডিয়াতেই সহ নাগরিকদের আহ্বান জানিয়ে শোভন লিখলেন, “সবাই দলে দলে ধর্মতলা আসুন। যতক্ষণ না বিচার পাচ্ছি বসছি আমরা। চলে আসুন, আর পাশের মানুষ কে জানান। আমরা সাধারণ মানুষ ধরনায় বসলাম।” ধর্মতলার রাস্তায় সেই ধরনাতেই দেখা গেল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তিলোত্তমার জন্য বিচার চাইতে শোভন-সোহিনীকে। ধর্মতলায় ধরনায় যোগ দিয়েছেন, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, বিদীপ্তা চক্রবর্তী। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিশু ও নারী কল্যাণ, পরিবহন বিভাগ-এই চারটি দপ্তরে মেইল করা হয়েছে। যতক্ষণ না সরকারের তরফে সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে, এই বিক্ষোভ অবস্থানে অনড় তাঁরা, বলে জানালেন। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘সরকারি বেতন, বোনাস নেবেন তো?’, ধর্ষকদের ফাঁসি চেয়ে আন্দোলনকারী ডাক্তারদের প্রশ্ন কাঞ্চনের]

মিছিল থেকেই সোহিনী সরকার বললেন, “আমরা রাস্তায় থাকব, যতদিন না থ্রেট কালচার বন্ধ হয়। রাজনৈতিক নেতার এবং তাদের ঘনিষ্ঠরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানাভাবে হুমকি দিয়ে একটা দুর্নীতির রাজত্ব করে তুলেছে। আমরা সেগুলো থেকে মুক্ত একটা সমাজ চাই। আমরা এই থ্রেট কালচার, রেপ কালচারের বিরুদ্ধে আজকে পথে নেমেছি। যতদিন কণ্ঠস্বর থাকবে, প্রতিবাদ করব। একটা হাসপাতালে যদি এরকম ঘৃণ্য ঘটনা হতে পারে, তাহলে ভারতবর্ষের যে কোনও জায়গায় এই ঘটনা হতে পারে। সব রাজ্যের মহিলারা আওয়াজ তুলুন, তাদের সরকারের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করতে হবে। সাধারণ মানুষ যখন একজোট হয়, তখন অনেক সরকার, প্রশাসন নড়ে গিয়েছে।”

[আরও পড়ুন: ‘কাল যদি আমার সঙ্গে কিছু ঘটে, এটা মনুষ্যত্বের লড়াই’, মহামিছিলের ভিড় থেকে সরব দিতিপ্রিয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement