সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ঋতুহীন’ বাংলা সিনেইন্ডাস্ট্রির এগারো বসন্ত পার। ক্যালেন্ডারে ৩০ মে, মানেই আজও সিনেপ্রেমীদের কাছে দুঃস্বপ্নের একটা দিন। অকালে পরপারে চলে গেলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituparno Ghosh)। ২০১৩ সালের ৩০মে তাঁর সেই আকস্মিক অভিসারে চলে যাওয়ায় আজও উত্তর খুঁজে ফেরে গোটা টলিউড। না জানি, আরও কত মণি-মাণিক্য বাকি ছিল তাঁর সিনেদর্শকদের উপহার দেওয়ার জন্য। তবে ঋতু যায়, ঋতু ফিরে আসে সকলের মনে, আবেগে। মৃত্যুর এতগুলো বছর পরেও সমুজ্জ্বল তিনি। ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যুবার্ষিকীতে আবেগমাখা শব্দরাজি লিখলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)।
শুধু অভিনেতা-পরিচালকের সম্পর্ক ছিল না তাঁদের মধ্যে। ঋতুপর্ণ ঘোষ ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কাছের মানুষ। ‘ফ্রেন্ড, ফিলোজফার অ্যান্ড গাইড’ বললেও অত্যুক্তি হয় না! আজও প্রিয় ‘ঋতুদা’র অকালে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি অভিনেত্রী। ২০১৩ সালের ৩০ মে, যেদিন ঋতুপর্ণ চলে গেলেন, সেদিন তাঁর নিথর দেহের সামনে ঠাঁয় পায় বসে ঋতুপর্ণা। যত্ন সহকারে পাগড়ি বেঁধে দিলেন অভিভাবকসম পরিচালকের মাথায়। সাজিয়ে দিলেন। শেষযাত্রায় সেই সাজবেশেই অভিসারে গেলেন ঋতুপর্ণ। আজ তাঁর প্রয়াণদিবসে সুদূর মার্কিন মুলুকে বসেও স্মৃতি আঁকড়ে ‘ম্যাডাম’ সেনগুপ্ত। সেখান থেকেই একরাশ টেনশন, উত্তেজনাপূর্ণ দিনেও ঋতু-স্মরণে ডুবলেন অভিনেত্রী।
ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবির সামনে দাঁড়ানো এক ছবি পোস্ট করে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত লিখলেন, “তোমার না থাকার শূন্যতা কখোনোই পূরণ হবে না, তুমি মনের মধ্যে রয়ে যাবে আজীবন। ভালো থেকো ঋতুদা।” ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত ‘দহন’, ‘উৎসব’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল ঋতুপর্ণাকে। ‘চোখের বালি’র প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর বদলে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এসে বাঙালি দর্শকদের ‘চোখের মণি’ হলেন। তবে তার পরও অভিনেত্রীকে নিয়ে দুটো ছবি করতে চেয়েছিলেন পরিচালক। চিত্রনাট্যের খসড়াও ছিল প্রস্তুত। কিন্তু সেটা আর বাস্তবায়িত হয়নি ঋতুপর্ণ ঘোষের অকালপ্রয়াণের জন্য। ঋতুপর্ণার কথাবার্তায় বারবার উঠে এসেছে সেই আক্ষেপের কথা।
বৃহঃস্পতিবার সকাল থেকেই সোশাল মিডিয়া সরগরম রেশন দুর্নীতি মামলায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে ইডির তলব নিয়ে। আগামী ৫ জুন হাজিরা দিতে হবে অভিনেত্রীকে। তিনি এখন এই মুহূর্তে মার্কিন মুলুকে। সেখান থেকেই জানিয়েছেন, “খুব অবাক হয়েছি শুনে। আমি এ ব্যাপারে সত্যিই কিছু জানি না। রেশন দুর্নীতি কী? সে সম্পর্কে আমার কোনও ধারনাই নেই। আমার কলকাতার বাড়িতেও তো কোনও চিঠি আসেনি! সামনে আমার অনেকগুলো ছবির মুক্তি রয়েছে। তার মাঝে এমন খবর, মোটেই আমার জন্য ভালো নয়। আমার সম্মানহানি হল। সারাজীবন পরিশ্রম করছি। হঠাৎ করে আমার নামে এমন বলে দেওয়া খুবই অন্যায়।” আইনজীবীর পরামর্শ নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে এত সব টেনশনের মাঝেও প্রিয় ঋতুদাকে নিয়ে কলম ধরতে ভুললেন না তাঁর ‘প্রিয় ছাত্রী-বন্ধু’ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.