সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকর্মা পুজোর মতো শুভদিনে ঋতাভরী চক্রবর্তীর মন খারাপ। চোখের কোলে জল। আর সেই ঝাপসা চোখেই স্মৃতি মন্থনে অভিনেত্রী। হ্য়াঁ, মঙ্গলবার শোকের ছায়া নামল ঋতাভরীর পরিবারে। তিনি হারালেন তাঁর এক প্রিয়জন বুচকিকে। যে বুচকি তাঁর অন্তরের অন্দরমহল দখল করে রেখেছিল। সেই বুচকিই এখন নেই। প্রিয় সারমেয়কে হারিয়ে ঋতাভরীর মন ভারাক্রান্ত।
ঋতাভরী তাঁর ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন বুচকির এক পুরনো ভিডিও। সেই ভিডিও পোস্ট করে ঋতাভরী লিখলেন, ”কত আনন্দ দিয়েছিস আমাদের সোনা। যেখানেই থাকিস খুব ভালো থাকিস। স্বর্গলোকে আজ আনন্দ। নিশ্চয় তোকে পেয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে তারা। আমরা তোকে ভালবাসি এবং তোর কথা খুবই মনে পড়বে। শান্তিতে ঘুমাও বুচকি।” ২০১৫ সালে তাঁদের বাড়িতে আসে বুচকি। ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁদের ছেড়ে চলে যায় ঋতাভরীর সেই প্রিয় বুচকি।
সম্প্রতি টলিউডে যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন ঋতাভরী। সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়ে ছিলেন, ”হ্যাঁ, আমি বলেছি। উনি কিছু প্রশ্নও করেছিলেন। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে, আমি দুজনের নামও বলেছি। সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে বলে উনি জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, উনি আমাকে আরও বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তখন বলি যে, শোনা কথায় কাউকে দোষারোপ করব না। তদন্ত শুরু হলে, মেয়েরা যে অভিযুক্তদের নাম নেবে, সেখান থেকেই বেরিয়ে আসবে এরা কতটা দোষী। শুধু বদনাম শুনেছি বলেই, কারও নাম করতে চাই না। কমিটিটা এই জন্যও, যেন কোনও নির্দোষকে দোষী বানিয়ে বদনাম না করা হয়।”
View this post on Instagram
ঋতাভরী আরও জানিয়েছেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলেছি। নিজেও অনেক বছর এটা বিশ্বাস করতে চাইনি। ভালোটাই দেখতে চেয়েছি। সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা কেরিয়ারের শুরুর দিকেই হয়েছিল, ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র পর। যখন আমার কুড়ি-একুশ বছর বয়স। যখন আমি প্রতিষ্ঠিত নই, শুধুই পরিচিত মুখ। এমন পরিচিত মুখের বিপদ সবচেয়ে বেশি। সবাই টার্গেট করতে শুরু করে তাকে। এটা যেন নর্ম ধরে নিয়েছে, যে কাজ পেতে গেলে আপস করতে হবে। সবাই যে সরাসরি বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব দেয় তা নয়। একজন বড় অভিনেতা এক ব্যক্তির মাধ্যমে আমাকে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রস্তাব দেন এবং আমি তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। সেই বিষয়ে একজন সিনিয়র জার্নালিস্টের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলাম। সেই জার্নালিস্ট আমাকে বলেছিলেন যে, ‘এত বড় সুযোগ হাতছাড়া করলে! ইন্ডাস্ট্রিতে থাকতে গেলে এটুকু তো মেনে নিতেই হবে। ওইরকম একটা মানুষ তোমাকে কাছে পেতে চাইছে!’ এমন শিক্ষিত মানুষের কাছে এটা আমি আশা করিনি। বলেই দিয়েছিলাম, এসব আমি পারব না। উনি বলেছিলেন, ‘তাহলে তুমি কবিতা লেখো, অভিনয় করে কাজ নেই।’ এটা আমার কাছে খুব হতাশাজনক ছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.