সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে শ্রীলেখা মিত্রর অভিযোগ, অন্যদিকে হেমা কমিটির রিপোর্ট। এই দুই জোড়া ফলায় বিদ্ধ মালয়ালম চলচ্চিত্র জগৎ। যৌন হেনস্তার অভিযোগে আতশকাচের নিচে রঞ্জিত, সিদ্দিকির মতো পরিচালক-অভিনেতারা। আগেই অ্যাসোসিয়েশন অফ মালয়ালম মুভি আর্টিস্ট এর সাধারণ পদ থেকে পদত্যাগ দিয়েছেন সিদ্দিকি। আর এবার মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে এই সিনে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করলেন সংগঠনের সভাপতি ও অভিনেতা মোহনলাল। তবে শুধুই একা মোহনলাল নন, সঙ্গে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন সংগঠনের ১৭ জন সদস্য। পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তাঁদের বার্তা, ”কমিটির কয়েক জন সদস্যের বিরুদ্ধে কিছু অভিনেত্রী নারী নিগ্রহের অভিযোগ এনেছেন। সেই দায় স্বীকার করে কার্যনির্বাহী কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সভাপতি এবং সংগঠনের প্রত্যেক সদস্য। আশা করছি। এই সংগঠন নতুন নেতৃত্ব পাবে। যিনি সঠিক বিচার করবেন। সমালোচনা ও সঠিক দিশা দেখানোর জন্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সবাইকে ধন্যবাদ।”
গত ২৪ আগস্ট মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির এক অভিনেত্রী যৌন নিপীড়নের অভিযোগের পরেই অভিনেতা সিদ্দিক অ্যাসোসিয়েশন অফ মালায়লাম মুভি আর্টিস্টস (এএমএএমএ) এর সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়ে ছিলেন যে তিনি সংগঠনের সভাপতি মোহনলালের কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
সিদ্দিক বলেন, “হ্যাঁ। আমি সংগঠনের সভাপতি মোহনলালের কাছে আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। যেহেতু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাই আমি পদে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং পদত্যাগ করেছি।” অভিনেত্রী অভিযোগ করেছিলেন যে সিদ্দিক তাকে একটি সিনেমা নিয়ে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর পরে তাকে যৌন নির্যাতন করেছেন। জাস্টিস হেমা কমিটির রিপোর্ট প্রকাশের পর মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে এই অভিযোগগুলি এসেছে, যা কাস্টিং কাউচ এবং যৌন নির্যাতনের অসংখ্য ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করেছে।
অন্যদিকে, বাংলা ইন্ডাস্ট্রির যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন ঋতাভরী চক্রবর্তী। রূপাঞ্জনা মিত্র, অনীক দত্ত, পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়রাও তাঁকে সমর্থন করেন। এমন পরিস্থিতিতেই, টলিউডে কাজের পরিবেশ ঠিক রাখার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে উইমেনস’ ফোরাম ফর স্ক্রিন ওয়ার্কাস (Womens’ Forum for Screen Workers+)। সংস্থার নামের পাশে একটি প্লাস চিহ্নও রয়েছে।
ইম্পা, আর্টিস্ট ফোরাম, ফেডারেশন ও টেলি অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর সেখানে আর জি কর প্রসঙ্গের উল্লেখ করে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সিনেমা, সিরিয়াল ও ওয়েব প্ল্যাটফর্মে কাজ করা মহিলাদের পক্ষ যৌন হেনস্তার অভিযোগ কথা জানানো হয়েছে। চিঠিতে লেখা, “প্রত্যেকদিন আমাদের নানা ভাবে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয়। পাশাপাশি নিয়মিতভাবে নারী, শিশু এবং প্রান্তিক পরিচয়ের মানুষদের নির্যাতনের কথাও শোনা যায়। তবুও, আমাদের কাছে এমন কোনও কার্যকরী সহায়তা ব্যবস্থা নেই যেখানে ভারতীয় আইন অনুযায়ী যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, নিষেধাজ্ঞা এবং প্রতিকারের দাবি জানাতে পারি।” অভিযোগ, এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও আলাপ আলোচনাও করা হয় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.