সুপর্ণা মজুমদার: ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা বাংলা ছবি ‘কাবেরী অন্তর্ধান’। মঙ্গলবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। পুরস্কার নিতে ইতিমধ্যেই রাজধানীতে পৌঁছে গিয়েছেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়(Kaushik Ganguly)। সঙ্গী প্রযোজক সুরিন্দর সিং। এদিনই আবার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার গ্রহণ করবেন বাংলার ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। কৌশিক যেমন ‘মিঠুনদা’কে নিয়ে গর্বিত, তেমনই নিজের ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ টিমের জন্য খুশি। আবার জাতীয় পুরস্কারের এই অনুষ্ঠান পরিচালকের কাছে সারা ভারতবর্ষের সিনেমাপ্রেমী মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলাপ-আলোচনার অবসর।
ভারতীয় সিনেমায় অবদানের জন্য আগেই জাতীয় পুরস্কার, পদ্মসম্মানে ভূষিত হয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। এবার দাদাসাহেব ফালকে গ্রহণ করবেন। ঘটনাচক্রে এদিনই ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করবেন কৌশিক। কেমন অনুভূতি? প্রশ্ন শুনেই পরিচালক বললেন, “মিঠুন চক্রবর্তী পাবে না তো কে পাবে! তার এই সুবিশাল সিনেম্যাটিক সফর। আগে ধরা হত দাদাসাহেব ফালকে প্রায় রিটায়ারমেন্টের সম্মানের মতো। সেটা কিন্তু নয়। ভালো লাগে যখন এমন সময় এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে যখন তার পরেও মানুষ কাজ করবে। আর মিঠুনদার ক্ষেত্রে খুব আনন্দের কারণ তাঁর ছবিও রিলিজ হয়েছে। সব একসাথে হচ্ছে।”
কৌশিক মনে করেন, মিঠুন চক্রবর্তী অনেক আগেই এই সম্মান পেতে পারতেন তিনি এতটাই সুযোগ্য একজন মানুষ। এর পরই পরিচালক বলেন, “বাঙালি একজন পেয়েছেন এটা তো আমার কাছে খুবই আনন্দের। একই সঙ্গে আমাদের এখানে সাবিত্রীদি, মাধবীদির মতো শিল্পীরাও রয়েছেন। যাঁরা হয়তো ভবিষ্যতে পাবেন। আমি চাই তাঁরা পাক। আজকে সারা পৃথিবীতে এমন কোনও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব হয় না যেখানে মাধবী মুখোপাধ্যায়ের ছবি থাকে না। এতটাই গুরুত্বপূর্ণ একজন অভিনেত্রী। আমার আশা, তাঁরাও যদি পান কখনও। মিঠুন চক্রবর্তীর এই সফর শুধু বাংলা বা দেশ নয়, বিদেশেও তাঁর বিপুল খ্যাতি। তিনি রাশিয়ারও হিরো। রাজ কাপুর ও মিঠুন চক্রবর্তী এটা অ্যাচিভ করেছেন। আমরা সবাই খুব গর্বিত। এমন এক শিল্পী। আর এমন সময় এই সম্মান তিনি পেয়েছেন যখন আরও অনেক দিন কাজ করবেন।”
জাতীয় পুরস্কার প্রদানের এই অনুষ্ঠান তো শিল্পীদের কাছে একটা রিইউনিয়নের মতো তাই না? কৌশিকের উত্তর, “হ্যাঁ, বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসেন। দক্ষিণ ভারত থেকেও। তাঁরা এসে যখন আমার ছবি নিয়ে কথা বলেন খুব ভালো লাগে। আমরা আনেক সময় বুঝতে পারি না যে কত মানুষ আসলে আমাদের ছবি দেখছেন সারা ভারতবর্ষে। আমরা কয়েকটা হল আর মাল্টিপ্লেক্স নিয়ে ভাবি। আমাদের পাড়ায় আমাদের কতটা কদর থাকে সেটা ভাবি। কিন্তু কখনও কখনও সেই কদরটা বাইরেও থাকে এবং মানুষ দেখেন। এইটা আমার কাছে খুব আনন্দের। আর ‘কাবেরী অন্তর্ধান’-এর পুরস্কার তো বটেই। এটা আমাদের পুরো টিমের জন্য, আমার বা প্রযোজকের একার নয়। মিস্টার সুরিন্দর সিং ও আমি এসেছি। পরিচালক ও প্রযোজককে আলাদা পুরস্কার। সেটা গ্রহণ করব। তার পর আবার ব্যাক টু কলকাতা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.