সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাঞ্চন-শ্রীময়ী (Kanchan Mullick, Sreemoyee Chattoraj) দুজনেই ঈশ্বরে বিশ্বাসী। তাই সুযোগ পেলেই মন্দিরে ছুটে যান। বাড়িতেও আধ্যাত্মিক পরিবেশ। কালীপুজো, লক্ষ্মীপুজো থেকে রথ-রাস পালন সবটাই পালন করেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। সম্প্রতি মহাকুম্ভ থেকে অমৃতস্নান করে ফিরেছেন দম্পতিতে। এবার বিয়ের প্রথম জন্মদিনেও পৌঁছে গেলেন উজ্জয়িনীতে। সেখানকার মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরে জুটিতে পুজো দিয়ে একে-অপরের জন্য কলম ধরলেন দম্পতি।
গুটি গুটি পায়ে দাম্পত্যের এক বসন্ত পার করে ফেললেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। তাঁদের বিয়ে থেকে বউভাত নিয়ে কম চর্চা হয়নি গতবছর। তবে নিন্দুক, সমালোচকদের কটু কথাকে উপেক্ষা করে দাম্পত্যের পিচে ঝোড়ো ব্যাটিং চালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। এরমাঝেই দুই থেকে তিন হয়েছেন তারকাদম্পতি। বিয়ের প্রথম জন্মদিনে সেকথাই মনে করলেন শ্রীময়ী। সামাজিক বিয়ের একগুচ্ছ অদেখা ছবি পোস্ট করে ‘কৃষভির মা’য়ের মন্তব্য, “দেখতে দেখতে একটা বছর পার হয়ে গেল, আমি তো এখনও বিশ্বাসই করতে পারছি না যে সেই দিনে ক্লাস নাইনে পড়ি আমি তোমার সাথে আলাপ হয়েছিল, তারপর ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব, গভীরতা, আর বিশ্বাস নিয়ে বন্ধুত্বের হাত ধরতে ধরতে কখন যে চার হাত এক হয়ে গেল আমি নিজেও বুঝতে পারিনি, আমি কিনা এক সময় বলতাম আমি বিয়ে করব না কোনদিনও, সেই মেয়ে একজন সন্তানের মা হয়ে গেলাম। আমি ঈশ্বরকে কি বলে ধন্যবাদ দেব জানি না, তোমায় ধন্যবাদ দিলেও কম বলা হবে ঈশ্বরকে, তাই আমি ঈশ্বরকে ভালোবাসি, আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ। তুমি ছিলে এবং আছ বলে আমার জীবনটা এত সুন্দরভাবে সাজিয়ে দিয়েছো। তুমি ছিলে বলেই আমি কাঞ্চনের মতো মানুষকে আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি, আমার সন্তানের বাবা হিসেবে পেয়েছি, অনেক শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা কাঞ্চন তোমাকে, তুমি আমাকে যা সম্মান, ভালোবাসা দিয়েছো, হয়তো আমারটা কম হয়ে যাবে,আমি তোমাকে বিয়ে না করলে জানতেই পারতাম না বুঝতেও পারতাম না এত সুন্দরভাবেও জীবন কাটানো যায়। এত সুন্দরভাবেও জীবনকে যাপন করা যায়। এত সুন্দরভাবে মাতৃত্বের আনন্দ উপভোগ করা যায়, তোমার ভালবাসায় আমি আজ পরিপূর্ণ।”
পয়লা বিবাহবার্ষিকীতে কী উপহার পেলেন শ্রীময়ী চট্টরাজ বিধায়ক স্বামীর কাছ থেকে? এপ্রসঙ্গে কাঞ্চনের উদ্দেশে অভিনেত্রীর মন্তব্য, “আমার বিবাহবার্ষিকীর সেরা উপহারটা তুমি আমায় দিয়ে দিয়েছ। পৃথিবীর যত দামি দামি উপহার আছে তাদের মূল্য হার মেনে যাবে এর কাছে। কারণ আমি আমার জীবনের সবচেয়ে দামি উপহারটা তোমার কাছে থেকে পেয়েছি সেটা হল, আমাদের কৃষভি। যে কিনা আমার কাছে প্ল্যাটিনামের থেকেও বেশি দামি। তোমাদের ভালোবাসায় আমি এভাবেই বাঁচতে চাই।” স্ত্রীয়ের রোম্যান্টিক বার্তার প্রেক্ষিতে কাঞ্চন বলছেন, তাঁর মতো অগোছালো ছেলেকে সংসারী বানিয়েছেন শ্রীময়ী। আগেই সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-কে অভিনেতা বিধায়ক বলেছিলেন যে, “শ্রীময়ী ভালো কোচ, তাই আমি ভালো খেলতে পারি।” বিয়ের প্রথম জন্মদিনেও কাঞ্চনের মুখে সেকথা শোনা গেল। উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে শ্রীময়ীর উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “একটা ছেলের অগোছালো জীবনকে গুছিয়ে নিয়ে, তার জীবনটাকে সঠিক করে, তাকে দিয়েও সংসার করানো যায়, তাকেও সংসারী বানানো যায়, এটা তোমার জন্য সম্ভব শ্রীময়ী, তুমি আমার জীবনে না এলে আমি জানতাম না যে এভাবে পরিবারকে নিয়ে বাঁচা যায়, এইভাবেও নিজের একটা জগৎ তৈরি করা যায়,আমি শুধু একটা বছরের জন্য নয়, আমি সারা জীবনের জন্য তোমাকে বলতে চাই শুভ বিবাহবার্ষিকী।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.