Advertisement
Advertisement
Prosenjit Chatterjee

ঋতুপর্ণার দুই ছবির শুটিং একসঙ্গে, কী ফন্দি আঁটলেন প্রসেনজিৎ? গল্প বললেন পরিচালক হরনাথ

'বুম্বাদা'র বয়স না বাড়ার 'সিক্রেট'ও জানালেন তিনি।

How Prosenjit Chatterjee helped as Hero, Director Haranath Chakraborty speaks out
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:September 30, 2024 5:00 pm
  • Updated:September 30, 2024 7:56 pm  

সুপর্ণা মজুমদার: জীবনের অনেকটা ‘সংগ্রাম’ একসঙ্গে করেছেন দুজন। একজন নায়ক, অন্যজন পরিচালক। বয়সের ফারাক মাত্র এক বছর। তবে সেটে সম্পর্ক ছিল কখনও বড় ভাই, কখনও বন্ধু, কখনওবা গুণমুগ্ধর মতো। সোমবার যখন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জীবনের নতুন বছরে পা রাখলেন, তখন পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীর মনে স্মৃতির সমস্ত পাতা যেন আবেগে হাওয়ার ঠেলা খেয়ে উলটোতে শুরু করল।

Prosenjit-Haranath

Advertisement

একটি ঘটনা সেই সময়ের যখন ‘পারমিতার একদিন’ ও ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ ছবির শুটিং চলছিল। দুই ছবির শুটিং একই সময়ে। আবার নায়িকাও এক। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কীভাবে হবে কাজ? এমন সময় মুশকিল আসান করলেন ‘বুম্বাদা’। হরনাথের কথায়, “বুম্বাদা বললেন চল আমি দেখছি। স্টোরিবোর্ড নিয়ে আমরা বসে গেলাম। বললেন দ্যাখ! ঋতুকে ছাড়া এই শটগুলো আমরা করে নেব, ঋতু এলে এই শটগুলো হয়ে যাবে। পুরো পরিকল্পনা হয়ে গেল।”

হরনাথ জানান, তাঁর ও প্রসেনজিতের(Prosenjit Chatterjee) দারুণ আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল। তাতেই অনেক কঠিন কাজ সুন্দরভাবে হয়ে যেত। আলাদা কোনও টেনশন হত না। তাঁর কথায়, “যে একবার না বুম্বাদার সঙ্গে কাজ করেছে সে ওকে চিনবে না।” ‘শত্রু’ সিনেমার সময় থেকে দুজনের পরিচিতি। সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সময় থেকেই সুপরাস্টারকে দেখছেন হরনাথ। জানান, সুপারস্টারের ভাবনাচিন্তার স্তর একদম আলাদা। অনেক ক্রিয়েটিভ সাজেশন দিতেন।

prosenjit

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বয়স কিছুতেই বাড়ে না। এর সিক্রেট কী? হরনাথ জানান, আজ থেকে নয়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কড়া ডায়েট তিনি ‘সংঘর্ষ’ সিনেমার সময় থেকেই দেখেছেন। তাঁর কথায়, “চার টুকরো শসা, টক দই, কখনও কখনও চা বা কফি খেতেন বুম্বাদা। আর কোনও খাবারে হাত দিতেন না। যেমন রেস্ট্রিকশন, তেমন শরীরচর্চা। তাপস পাল ছিলেন একেবারে বিপরীত। তিনি আবার খেতে খুব ভালোবাসতেন। কিন্তু বুম্বাদার সে বালাই নেই। ‘শশ্বরবাড়ি জিন্দাবাদ’ ছবির দিনরাতের শুটিং। জিজ্ঞেস করলাম, আমার স্ত্রীকে বলি কিছু করে দিতে। বললেন, ঠিক আছে একটু সবজি দিতে বল। সবজি আর একটা রুটি দিয়েছিল। রুটি কিছুতেই খেলেন না। বললেন শুধু সবজিই খাব। একেবারে অন্য সাধনা।”

পরিচালক জানান, তাঁর ও প্রসেনজিতের বোঝাপাড়া একদম আলাদা ছিল। সেটা শুটিংয়ে অত্যন্ত কাজে লাগত। পরিচালক বলেন, “আমার কাজ ছিল আগের দিন রাতে ওর বাড়িতে গিয়ে সিন ডিসকাস করা। ও রেগে যেত। বলত, তুই বাড়িতেও গিয়েও জ্বালাচ্ছিস। বলতাম, একটু কথা বলে নিই। কালকে আমি একদম রেডি থাকব। এই আলোচনায় অনেক কঠিন কাজ অনেক কম সময় করে ফেলতাম।”

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement