Advertisement
Advertisement
Indraneil Sengupta

মেয়েই তাঁর প্রায়োরিটি, সম্পর্কের ভাঙন নিয়ে মুখ খুললেন ‘ফেলুদা’ ইন্দ্রনীল

মে মাসের ১০ তারিখ মুক্তি পাচ্ছে সন্দীপ রায়ের ছবি 'নয়ন রহস্য'। 'হত্যাপুরী'র পর ফের 'ফেলুদা' অবতারে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত।

Exclusive Interview of Indraneil Sengupta
Published by: Akash Misra
  • Posted:April 22, 2024 6:49 pm
  • Updated:April 22, 2024 7:10 pm  

মে মাসের ১০ তারিখ মুক্তি পাচ্ছে সন্দীপ রায়ের ছবি নয়ন রহস্য। ‘হত্যাপুরী’র পর ফের ফেলুদা অবতারে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। ছবি ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে স্পষ্ট কথায় অভিনেতা। শুনলেন শম্পালী মৌলিক। 

ফেলুদা কি গরমকে হারিয়ে হল-এ টিকে থাকতে পারবে?
ইন্দ্রনীল: আমার মনে হয়, গরমকে হারানোর জন‌্য হল-এ আসাটা ইন্টেলিজেন্ট ডিসিশন। ঠান্ডা পাবে, ফলে ওটাই স্মার্ট ডিসিশন। মনে হয়, ফেলুদা টিকে থাকতে পারবে (হাসি)।

Advertisement

ট্রেলারের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখছি…

ইন্দ্রনীল: মিক্সড রিঅ‌্যাকশন তো আগের বারও ছিল। সো ইটস গুড। প্রতিক্রিয়া তো দিচ্ছে মানুষ।

‘হত‌্যাপুরী’-র পরে এবারে আপনার দ্বিতীয় ফেলুদা। এবারে চরিত্রটা বসে গিয়েছে আপনার মধ্যে, আশা করছি। কী মনে হয়, আরও জমবে?
ইন্দ্রনীল: মনে হয়, আমাদের তিনজনের (ইন্দ্রনীল (ফেলুদা), অভিজিৎ গুহ (জটায়ু), আয়ুশ দাস (তোপসে) কাজ বেটার হওয়া উচিত। কারণ, আমরা এখন আগের চেয়ে বেশি অভ‌্যস্ত। আমাদের বন্ডিং আগের চেয়ে বেটার হয়ে গিয়েছে। বাবুদার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও হয়ে গেছে। কাজেই শুরুতে যে অ‌্যাংশাসনেস ছিল, আমরা ট্রায়ো হয়ে উঠতে পারব কি না, সেটা অনেকটাই কেটে গেছে। প্রত্যেকবারই যখন আমরা ফেলুদা করব, এটা পরীক্ষাই হবে। এভরি টাইম ইট উইল বি জাজড। ইট উইল বি ক্রিটিকালি অবজার্ভড কিন্তু একটু আত্মবিশ্বাস এবার আমাদের আছে। আমি বলছি না ওভার কনফিডেন্ট।

‘নয়ন রহস‌্য’ করার পর্যায়ে একটা সময় প্রযোজক বদলেছে। একসময় পরিচালক সন্দীপ রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। নানারকম ঝড় ঝঞ্ঝা পেরিয়ে তারপরে আবার শুট হয়েছে। সেটা নিয়ে কি একটু দুশ্চিন্তা হচ্ছিল?
ইন্দ্রনীল: আমার মনে হয়, ‘হত‌্যাপুরী’-র সময় অনেক বেশি ঝড় গেছে। এবারে তো কিছুই হয়নি। বাবুদা মাঝখানে একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আমরা ফিরে আসি। আবার মহাবলীপুরমে গিয়ে ওই পার্টটা শুট করেছি আমরা। প্রযোজক চেঞ্জ হয়েছে, ইটস অল রাইট। আগের বারও পাল্টেছিল। উই হ‌্যাভ গুড হাউস ‘সুরিন্দর ফিল্মস’। আমার মনে হয় না, বিরাট কিছু আমরা ফেস করেছি।

এই ছবিটায় বাচ্চা নয়ন-ই (অভিনব বড়ুয়া) নায়ক প্রায় বলা চলে।
ইন্দ্রনীল: নয়ন-ই নায়ক। তাই তো নাম ‘নয়ন রহস‌্য’।

এবারে ছবির ইউএসপি কী হতে চলেছে?
ইন্দ্রনীল: নয়ন ডেফিনিটলি একটা আকর্ষণ। আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হল সুনীল তরফদার, ম‌্যাজিশিয়ান। যেটা দেবনাথ করেছে। তাছাড়া এবারে জটায়ুর অনেক কিছু করার আছে। ‘হত‌্যাপুরী’-তে ফেলুদাই অল ইন অল ছিল। এবারেও ফেলুদা ডেফিনিটলি তার কাজটা করবে। তবে অনেক জায়গায় জটায়ুকে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একটা জায়গা আছে, জটায়ুকে বলা হচ্ছে, আপনি প্রদোষচন্দ্র মিত্র হয়ে ইন্টার‌্যাক্ট করুন, রাজেশ শর্মার সঙ্গে। জটায়ুর অনেক কাজ আছে। যেখানে ফেলুদা অবজার্ভ করছে। টকি পোর্শন ফেলুদার ‘হত‌্যাপুরী’-তে বেশি ছিল, এবারে সীমিত। কারণ, অন‌্যরাও কাজ করছে। তাই এবারে বেশি করে অনসম্বল কাস্ট-এর ছবি, মানে সবাই রহস‌্য সমাধানে অংশ নিচ্ছে।

ফেলুদার জীবনে স্মার্টফোন এলেও, নারী নেই এখনও পর্যন্ত। এদিকে গত দু-তিন বছরে আপনার বিবাহিত জীবন চর্চায় এসেছে বারবার। কীভাবে সামলেছেন?

 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by Surinder Films (@surinderfilms)

ইন্দ্রনীল: চর্চাটা যখন পাবলিক ডোমেন-এ হয়, তখন নির্ভর করে যে, সেটায় আমি অংশ নেব, কি নেব না। ব‌্যক্তিগত জীবনের আলোচনা পাবলিক ডোমেন-এ করার ইচ্ছে ছিল না কখনও। সেখান থেকে আমি এতটুকু পাল্টাইনি। অনেক কথাই হয়, সেটায় আমি পার্টিসিপেট করি না।

জানি। তবে সম্প্রতি মুম্বইয়ের একটি মিডিয়ায় দেখলাম, আপনি মুখ খুলেছেন।
ইন্দ্রনীল: সেটায় একটা দিক আমি পরিষ্কার করে বলতে চেয়েছি। যেখানে আমার মনে হয়েছিল, আমার একটা রং পোর্ট্রেয়াল হচ্ছে বা রং মেসেজ যাচ্ছে। সেখানেও আমি বলেছিলাম, অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত সম্ভবত কোনও প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে না। একজন বাবা প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে। আমি শুধুমাত্র একজন বাবার অবস্থান স্পষ্ট করতে চেয়েছি। আমার একদমই মনে হয় না, কাউকে কৈফিয়ত দিতে হবে। বা নিজেকে ডিফেন্ড করার জন‌্য এগিয়ে আসতে হবে। সেইটা করতে হলে, আই উইল ডু ইট ইনফ্রন্ট অফ দ‌্য রাইট অথরিটিস। যদি লিগাল ইস্যু হয়, দেন উইল গো লিগাল অ‌্যাবাউট ইট। মিডিয়া ট্রায়াল-এর কোনও প্রয়োজন নেই। আমি সোশ‌্যাল মিডিয়াতে নিজের ব‌্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলি না। কারও কাছে সে সব নিয়ে সাক্ষাৎকারও দিই না। সেখান থেকে আমার মনে হল, এটা বলে দেওয়া খুব দরকার যে, আমার মেয়েই আমার প্রায়োরিটি। বাবা হিসাবে আমি তার প্রতি সব দায়িত্ব পালন করি।

বরখা আর আপনি প্রায় তিন বছর সেপারেটেড। সেই জায়গাটা আপনার মেয়ে মীরা কতটা বুঝতে পেরেছে?
ইন্দ্রনীল: ডেফিনিটলি বুঝেছে। এখন ওর বারো বছর বয়স। সবকিছুই বোঝে। আমি মীরার প্রশংসাই করব যে, ও অসম্ভব পরিণত। আমার মনে হয়, আমাদের বয়সি লোকেরা যে ইমম‌্যাচিওরিটি দেখিয়েছে, মানে আমাদের আশপাশের লোকেরা বা ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা বা কমন বন্ধুবান্ধবরা, যে ধরনের পোলারাইজড বক্তব‌্য রেখেছে বা অপরিণত মনোভাব প্রকাশ করেছে, তার তুলনায় মীরা অনেক পরিণত। তখন ওর সাড়ে নয় বছর বয়স, ও যেভাবে হ‌্যান্ডল করেছে প্রাপ্তবয়স্কদের ওদের কাছে শেখা উচিত, কীভাবে নিউট্রাল থাকতে হয়। এবং কোনও পক্ষ নিতে নেই, যতক্ষণ না তাকে চাপাচাপি করা হচ্ছে। সো নো ওয়ান ইজ পুশিং হার টু টেক সাইডস।

আপনি আর বরখা এখন যেখানে দাঁড়িয়ে, ডিভোর্সের দিকেই কি যাচ্ছে বিষয়টা?
ইন্দ্রনীল: সেদিকেই যাচ্ছে। কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে এখন বলতে পারব না।

কখন বুঝেছিলেন যে আপনাদের সম্পর্কটা আর ওয়ার্ক করছে না?
ইন্দ্রনীল: যখন মানুষ প্রেমে পড়ে, মানে দুটো মানুষ যখন মিউচুয়ালি প্রেমে পড়েছে, তখন কি বলতে পারবে কোন তারিখে প্রেমে পড়েছে? পারবে না। বলতে পারে কোন তারিখে প্রোপোজ করেছে বা বলতে পারে প্রথম কবে ডেটে গিয়েছে। একইরকম ভাবে যখন প্রেম ভাঙে তার তারিখ বলা যায় না। প্রেমে পড়ার থেকেও ভাঙার সময় যেন বেশি সময় লাগে। আমার ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক ভাঙায় একটা জিনিস হয়েছে। আমার আশেপাশে যারা ছিল, অনেক পরিচিত, বন্ধুবান্ধব বা ইন্ডাস্ট্রির অনেকে, যাদের সঙ্গে আমি ইন্টার‌্যাক্ট করতাম, তারা যে ব‌্যবহার করেছে বা যে ভাবে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, আমার মনে হয়েছে তারা জুভেনাইল অ‌্যাডাল্টস। সেটা আমি জানতে পেরেছি এবং তাদের থেকে দূরে সরে গিয়েছি। সেইটা আমার পক্ষে ভালো হয়েছে। এটাই বলব।

বরখা মা, আর মীরা কন‌্যা সন্তান। বেশ কিছুটা মায়ের কাছাকাছি হবেই…
ইন্দ্রনীল: সেটা আমিও মনে করি। আইডিয়ালি মাদার ইজ আ বেটার পেরেন্ট ফর আ গার্ল চাইল্ড ইন দিজ টাইমস। কারণ, প্রি-টিন বা টিনএজে মায়ের সঙ্গে এমন কথাবার্তা বলা যায়, যেটা হয়তো বাবাকে সেভাবে বলা চাপ। বাবার সঙ্গেও বলা যায়, যখন মা নেই। আমি বলতে চাইছি, এই সময়টায় মাদার ইজ আ বেটার অপশন ফর আ গার্ল চাইল্ড।

তবে আপনার সঙ্গে মীরার একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক, সোশ‌্যাল মিডিয়া ফলো করলে বোঝা যায়।
ইন্দ্রনীল: খুব সুন্দর সম্পর্ক। যখন আমি আর বরখা একসঙ্গে ছিলাম, তখন মীরার সঙ্গে যে সম্পর্ক ছিল, তার থেকে এখন অনেক বেটার। কারণ, তখন আমার অনেককিছুতে ঢোকার দরকার পড়ত না। বা এত ওপেনলি কথা বলার দরকার হত না। এখন সবকিছু খোলাখুলি আলোচনা করি ওর সঙ্গে। যেটা প্রাথমিকভাবে অসুবিধা হয়েছিল আমার। যেহেতু আমি ওইভাবে কন্ডিশনড না। নাও আই ফিল অ‌্যাবসোলিউটলি ইটস নাইস, এখন আমি মীরার সঙ্গে যেকোনও বিষয়ে কথা বলতে পারি। ফেলুদায় ফিরি এবার?

[আরও পড়ুন: ‘নট হ্যাপিলি ম্যারেড’, তবু কেন ডিভোর্সের পথে যাননি তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা? ]

নিশ্চয়ই। মেয়েকে ‘হত‌্যাপুরী’ দেখাতে পেরেছিলেন?
ইন্দ্রনীল: না, ও এখনও দেখেনি। ফেলুদার প্রতি এখনও ওর আগ্রহ তৈরি করতে পারিনি। ইংলিশ ফেলুদার বই-ও ওকে দিয়েছি পড়ার জন‌্য। নিশ্চয়ই বড় হয়ে পড়বে, আশা করি (হাসি)।

 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by Indraneil Sengupta (@indraneilsengupta)

কিছুদিন আগেই কলকাতায় শুট করে গেলেন কাজলের সঙ্গে। বিশাল ফুরিয়ার ছবি ‘মা’-এর জন‌্য। কীরকম চরিত্র?
ইন্দ্রনীল: খুব বড় চরিত্র নয়। তবে আমি কাজলের স্বামীর চরিত্রে। এর থেকে বেশি বলতে পারব না। ইটস আ সুপার ন‌্যাচারাল থ্রিলার। চরিত্রটা দৈর্ঘ‌্য অনুযায়ী বড় না হলেও, আমি খুশি এই প্রোজেক্টের অংশ হতে পেরে। অজয় দেবগণের প্রোডাকশনে কাজের সুযোগ এল। যখন আমার কম বয়স ছিল, যখন কাজল, রবিনা বা সোনালি বেন্দ্রের সঙ্গে হিরো হওয়ার সঠিক সময় ছিল, তাদের সঙ্গে আমি এই বয়সে কাজ করতে পারছি (হাসি)। আই অ‌্যাম হ‌্যাপি যে, আমার প্রাইম হিরোইন ছিল যারা, তাদের সঙ্গে এখন কাজ করছি।

আরও তো কটা বাংলা ছবি পাইপলাইনে?
ইন্দ্রনীল: হ‌্যাঁ, ‘পুরাতন’-এর জন‌্য অপেক্ষা করছি। যেখানে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শর্মিলা ঠাকুর রয়েছেন, সুমন ঘোষের পরিচালনায়। আর ‘আমার লবঙ্গলতা’ অনেক আগের ছবি, ওটাও রিলিজের অপেক্ষায়। আরও কয়েকটার কথা চলছে, দেখা যাক। (হাসি)

[আরও পড়ুন: ‘দাদাগিরি’, ‘দিদি নম্বর ১’-এর শুটিং স্টুডিওতে আগুন, মেকআপ ভ্যানের এসিতে বিপত্তি! ]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement