Advertisement
Advertisement
Deepika Padukone

‘স্ত্রীকে দেখার কী আছে? ৯০ ঘণ্টা কাজ করুন’, আজব নিদান শিল্পপতির, ‘মানসিক স্বাস্থ্য’ নিয়ে প্রশ্ন দীপিকার

বহুজাতিক সংস্থার চেয়ারম্যানকে কড়া ভাষায় তোপ দাগতেও পিছপা হলেন না দীপিকা পাড়ুকোন।

Deepika Padukone says L&T 'made it worse' with their defence of 90-hour workweek
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:January 10, 2025 10:47 am
  • Updated:January 10, 2025 1:03 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের কর্মসংস্কৃতি শোধরাতে নতুন তো বটেই বরং এক অদ্ভূত নিদান দিলেন ‘লারসেন অ্যান্ড টুব্রো’ (L&T) কোম্পানির চেয়ারম্যান এস এন সুব্রহ্মণ্যম। তাঁর দাবি, “রবিবারও সংস্থার কর্মীদের করা উচিত। বাড়িতে বসে কতক্ষণ স্ত্রীয়ের মুখ দেখবেন আপনারা?” এহেন ‘ইঁদুর দৌড়ের’ কমসংস্কৃতিমূলক মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই নেটপাড়ায় নিন্দার ঝড়। কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ দীপিকা পাড়ুকোনও (Deepika Padukone)। পাশাপাশি সুব্রহ্মণ্যমকে কড়া ভাষায় তোপ দাগতেও পিছপা হলেন না অভিনেত্রী।

ঠিক কী বলেছিলেন এস এন সুব্রহ্মণ্যম?

Advertisement

কর্মীদের সঙ্গে একটি বৈঠকের সময়, সুব্রহ্মণ্যম সপ্তাহে সাত দিন তাঁদের কাজের ইচ্ছে থাকার নিদান দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার, বহুজাতিক সংস্থার ওই চেয়ারপারসন রবিবার সহ ৯০-ঘণ্টার কাজের সপ্তাহের পক্ষে কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, “আমি আফসোস করি যে, তোমাদের দিয়ে রবিবার কাজ করাতে পারি না। আমি যদি তোমাদের রবিবারে কাজ করিয়ে নিতে পারি, তাহলে খুশি হব। ঘরে বসে কী করো তোমরা? কতক্ষণ তোমাদের স্ত্রীদের দিকে তাকাও?” এমন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সুব্রহ্মণ্যমের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন অনেকে। সেই স্ক্রিনশট ইনস্টা স্টোরিতে শেয়ার করে দীপিকা পাড়ুকোন বলেছেন, “এই ধরনের সিনিয়র পদে থাকা লোকজনকেও এমন বিবৃতি দিতে দেখে হতবাক হচ্ছি।”

অতীতে কর্মীদের ৭০ ঘণ্টা কাদের নিদান দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন ইনফোসিস-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এম নারায়ণমূর্তি। এবার সেরকমই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বহুজাতিক সংস্থার চেয়ারম্যান এস এন সুব্রহ্মণ্যম। এক বিবৃতিতে Larsen & Toubro-র মুখপাত্র বলেছেন, “দেশ নির্মাণ আমাদের মূল উদ্দেশ্য৷ আট দশকেরও বেশি সময় ধরে আমরা ভারতের পরিকাঠামো, শিল্প এবং প্রযুক্তিগত পরিকাঠামোকে রূপ দিচ্ছি। আমরা এমন একটি সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি যেখানে সম্মিলিত অগ্রগতির জন্য আরও উৎসাহ প্রয়োজন। আমাদের দেশ সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে উন্নত দেশ হয়ে উঠতে পারবে। এলঅ্যান্ডটি-তে আমরা এমন একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে আবেগ, উদ্দেশ্য এবং কর্মক্ষমতা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে।” সেই মন্তব্য শেয়ার করে দীপিকা পাড়ুকোন লিখেছেন, “এঁরাই দেশের কর্মসংস্কৃতি আরও নষ্ট করছে।” অভিনেত্রী বিগত এক দশক ধরেই মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রচার করছেন। তাঁর নিজস্ব একটি সংস্থাও রয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement