Advertisement
Advertisement
Arindam Sil

‘প্রচণ্ড সম্মানহানি…’, ডিরেক্টর্স গিল্ডকে পালটা অরিন্দম শীলের, আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি

শনিবার মেল মারফত পরিচালককে সাসপেনশন নোটিস পাঠায় ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া।

Arindam Sil reacted sharply after DAEI suspension
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:September 7, 2024 10:23 pm
  • Updated:September 8, 2024 10:51 am  

সুপর্ণা মজুমদার: কোন কথা না বলেই সরাসরি সাসপেনশনের নোটিস পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্তার অভিযোগ নস্যাৎ করে এমনটাই জানালেন পরিচালক অরিন্দম শীল। পরিচালক জানান, এই ঘটনায় তাঁর প্রচণ্ড সম্মানহানি হয়েছে এবং হবে। তাঁকে ভিলেন বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন বলেও জানান তিনি।

arindam

Advertisement

শনিবার মেল মারফত অরিন্দম শীলকে এই সাসপেনশনের নোটিস পাঠায় ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (DAEI)। পরিচালকের সদস্য পদ সংখ্যা ১৯৩। তা উল্লেখ করে জানানো হয়েছে পরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠেছে। যার প্রাথমিক প্রমাণ রয়েছে এবং তা অত্যন্ত উদ্বেগের। এমন অভিযোগ সংগঠনের পক্ষে ক্ষতিকর। সেই কারণেই ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিচালককে সাসপেন্ড করা হচ্ছে অথবা যতদিন না পর্যন্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে, ততদিন এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলেই জানানো হয়েছে।

[আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে পাহাড় যাওয়ার কথা ভাবছেন? এই পাঁচ জিনিস ভুলবেন না]

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে পরিচালক জানান, বিষয়টি ‘একটি খুনির সন্ধানে’ সিনেমার সেটে হয়েছে। সাহেব চট্টোপাধ্যায় ও অভিযোগকারী অভিনেত্রীকে তিনি একটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তা একটি ‘চিট শট’ ছিল। পরিচালক শট বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। সেই সময় ‘অ্যাক্সিডেন্টালি’ পরিচালকের মুখ অভিনেত্রীর গালে লেগে যায়। আর সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃতভাবেই হয়েছিল। তখন তা নিয়ে অভিনেত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া ছিল না। শুটিংও নির্বিঘ্নে হয়ে যায়। পরে তিনি যৌন হেনস্তার অভিযোগের বিষয়টি জানতে পারেন।

অরিন্দম শীল জানান, তাঁকে মহিলা কমিশনেও ডাকা হয়েছিল। সেখানে তিনি নিজের বক্তব্য জানান। বিষয়টি লিখিতভাবে দেওয়ার কথা বলা হয়। পরিচালক জানান, অনিচ্ছাকৃতভাবেই যে ঘটনাটি ঘটেছে তা তিনি লিখিতভাবেই দিতে যাচ্ছিলেন। তাতে অভিযোগকারী অভিনেত্রী রাজি ছিলেন না। তখন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের অনুরোধে তিনি অনিচ্ছাকৃত শব্দটি বাদ দেন। সেটিই এখন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। পরিচালকের কথায়, “এই সময়ে দাঁড়িয়ে একজন মহিলা একজন পুরুষের সম্পর্কে বলছেন। এবার সমস্ত কিছু আমার বিরুদ্ধে হয়ে যাবে। ফ্লোরের মধ্যে এমন ঘটনা কীভাবে হতে পারে? আমাকে পুরো ভিলেন করে দেওয়া হল এবং ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন আমাকে শিখণ্ডী দাঁড় করিয়ে দিয়ে এই যে স্বরূপ বিশ্বাস ভার্সেস যার মধ্যে যা কিছু, আমি কোনও কিছুতে নেই। অথচ আমাকে বখরা করে দেওয়া হল। যে প্রচণ্ড সম্মানহানি আমার হয়েছে এবং হতে চলেছে আমার সামাজিক অবস্থান, আমার সমস্ত কিছুতে। আমি ভাবতি পারছি না।” কোন পদক্ষেপ নেবেন? পরিচালকের জবাব, “আমি নিশ্চিতভাবেই আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলব। জানব আমি কী করতে পারি। একদমই।” এদিকে মহিলা কমিশনের বক্তব্য, “কমিশন কেস ফাইল করে না, কমিশনের কাছে অভিযোগকারিনী অভিযোগ করে। দু পক্ষ নিয়ে সেখানে শুনানি হয়।”

[আরও পড়ুন: সম্পর্ক ভাঙার জল্পনার মাঝেই নীলাঞ্জনার গণেশ বন্দনা, অনুপস্থিত যিশু?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement