Advertisement
Advertisement
Dev

‘যত ভোট, তত গাছ’, বর্ষার আগেই ঘাটালে বৃক্ষরোপণ দেবের, আর কী কী করবেন?

'কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘুম পাড়িয়ে কেশপুরে ভোট লুঠ করেছে তৃণমূল', হারের পর অভিযোগ হিরণের।

After Lok Sabha Election 2024 win Dev will plant trees in Ghatal

ছবি: সুকান্ত চক্রবর্তী

Published by: Suparna Majumder
  • Posted:June 5, 2024 10:10 am
  • Updated:June 5, 2024 5:31 pm

শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: গতবারের চেয়ে পৌনে এক লাখ ভোটের মার্জিন বাড়িয়ে তৃতীয়বারের জন‌্য সংসদ-যাত্রা নিশ্চিত করলেন দেব (Dev)। বিজেপির অভিনেতা- বিধায়ক তথা এবারের প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ‌্যায়কে এক লক্ষ ৮২ হাজার ৪৪৬ ভোটে হারালেন তিনি। দুই তারকার লড়াই দেখতে মুখিয়ে ছিল গোটা ঘাটালবাসী। তৃণমূলের তারকা প্রার্থীই শেষ হাসি হাসলেন।

মঙ্গলবার ভোট গণনার শুরু থেকেই দেব ও হিরণের মধ্যে সাপ লুডোর খেলা চলছিল। কিন্তু পঞ্চম রাউন্ডের পর থেকে দেব ঝড়ের গতিতে এগোতে থাকেন। ১৮ রাউন্ডের পর তাঁর ব‌্যবধান দাঁড়ায় এক লক্ষ ৮২ হাজার ৪৪৬ ভোট। আগের বারের চেয়ে প্রায় ৭৫ হাজার বেশি ভোট পেয়েছেন দেব। গতবার তাঁর জয়ের ব‌্যবধান ছিল এক লক্ষ সাত হাজার ৯৭৩ ভোট। গতবার দেব ঘাটাল লোকসভার সাতটি বিধানসভার তিনটি বিধানসভায় পিছিয়ে ছিলেন। এবার সবক’টি বিধানসভা থেকেই বিপুল লিড পেয়েছেন।

Advertisement
Dev-1
ছবি: সুকান্ত চক্রবর্তী

মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ ঘাটালে পৌঁছন দেব। তাঁকে দেখে উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙে যায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে। একে একে দেব হাত মেলান দুই মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও শিউলি সাহা, বিধায়ক ও প্রবীণ তৃমমূল নেতা অজিত মাইতি, দাসপুরে বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস হুতাইত-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। তাঁর এই বিপুল জয়ের জন‌্য দেব অসংখ‌্য তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই সম্ভব হয়েছে বলে জানান। দেব অবশ‌্য আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি জিতছেনই। সেই সঙ্গে অসংখ‌্য তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভোট গণনার আগে মনোবল চাঙ্গা করতে তাঁর এবং তাঁর দলের জয়ের ব‌্যাপারে আশ্বস্ত করেন।

[আরও পড়ুন: রাজনীতির ‘নেপোকিড’ কুপোকাত, ‘সেনার মতো মান্ডিকে রক্ষা করব’, জিতেই প্রতিজ্ঞা ‘ক্যুইন’ কঙ্গনার]

দেব বলেছিলেন, রাজ্যে তৃণমূল ২৯ থেকে ৩০টি আসন পেতে চলেছে। কার্যত তাঁর দাবিই সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে রাজ্যে। দেবকে কাছে পেয়ে জয়ধ্বনি আর আবির খেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। দেবকেও সবুজ আবির মাখানো হয়। এদিন সাংবাদিকদের সামনে দেব হিরণকে ঠেস দিয়ে বলেন, ‘‘হিরণবাবু গত তিন মাস ধরে আমার বিরুদ্ধে অসংখ‌্য মিথ‌্যা কথা, কুকথা বলে গেলেন। কী লাভ হল ওঁর? আমি তাঁকে কোনও পালটা মন্তব‌্য করিনি। আমি বরাবরই মানুষের ভালোবাসায় বিশ্বাসী। মানুষের উপর আমার বিশ্বাস রয়েছে। আমি হিরণকে দেখিয়ে দিলাম কোনও কুকথা বা মিথ‌্যা কথা না বলেও জেতা যায়। গতবারের ভোটে আমি তিনটি বিধানসভায় পিছিয়ে ছিলাম। এবার সবকটি বিধানসভা থেকে লিড পেয়েছি। এর জন‌্য আমার দলের সমস্ত নেতা-কর্মীকে ধন‌্যবাদ জানাই।’’

 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by Dev Adhikari (@imdevadhikari)

দেব মনে করিয়ে দেন, ‘‘আমি বলেছিলাম আমি যত ভোট পেয়ে জিতব, ততগুলি গাছ লাগাব। বর্ষার আগেই আমি গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেব। ভোটপ্রচারে বেরিয়ে বেশ কয়েকটি সমস‌্যা আমার নজরে পড়েছে। সেগুলি সব আমি লিখে রেখেছি। আর অবশ‌্যই ঘাটাল মাস্টারপ্ল‌্যান আমার কাছে সব চাইতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’’ এর পর দেব চলে যান ঘাটালের বিশালাক্ষী মন্দিরে। তিনি সেখানে পুজো দেন। এদিকে, এদিন তৃণমূলের জয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল শিবির। উল্লাসে মেতে ওঠেন কর্মী-সমর্থকরা।

এদিনে হারের পরই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তোপ হিরণের।  “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘুম পাড়িয়ে কেশপুরে ভোট লুঠ করেছে তৃণমূল। কেশপুরে একের পর এক বুথে ভোট লুঠ করা হয়েছে। একটি বুথে তৃণমূল ৮৮৭টি ভোট পেয়েছে। আর বিজেপির ঘরে শূন‌্য। হয় কি করে? এটা বিজেপি একটা সর্বভারতীয় দল। সেই দল একটি বুথে শূন‌্য পায় কী করে? অথচ ওই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল। তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী না ঘুমোলে বিজেপি কি শূন‌্য হতে পারত? কেশপুরে দুশোর বেশি বুথে রিগিং করেছিল, ছাপ্পা ভোট দিয়েছিল তৃণমূল। যাঁরা এইরকম শূন‌্য দিয়ে গণতন্ত্রকে অপমান করেছে তঁাদের বিরুদ্ধে আমার লড়াই চলবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াই চলবে”, বলেন তিনি। 

[আরও পড়ুন: যাদবপুর নিজের সায়নীকেই চাইল, ‘সৃজন’শীল লড়াই করেও ‘থার্ড বয়’ বামেরা]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement