সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ে হয়েছিল ২০০৪ সালে। এখন সাল ২০২৪। কুড়ি বছর পরও বাঙালি বউমাকে মেনে নেননি পঙ্কজ ত্রিপাঠির মা। কী এমন কারণ? যার জেরে এই তিক্ততা। এক সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জানালেন মৃদুলা ত্রিপাঠি।
কিশোর বয়স থেকেই পঙ্কজ-মৃদুলার প্রেম। বাড়িতে লুকিয়েই প্রেম শুরু হয়। মৃদুলাকে দেখেই ভালো লেগে গিয়েছিল পঙ্কজের। এদিকে পঙ্কজদের বাড়ির মেয়ের বিয়ে হয় মৃদুলার বাড়িতে। অর্থাৎ পঙ্কজ তখন মৃদুলার বউদির বাড়ির সদস্য। তবুও চুপিচুপি প্রেম চলতে থাকে।
মৃদুলা জানান, সেই সময় মনে করা হত যে নিজেদের থেকে উচ্চকূলেই কন্যাদান করা উচিত। আর সেই পরিবার থেকে কখনও কোনও মেয়েকে বধূ হিসেবে আর নিয়ে আসা উচিত নয়। তাকে অবনমন বলে মনে করা হত। পঙ্কজ-মৃদুলার সম্পর্ক রক্তের ছিল না। কিন্তু মৃদুলার শাশুড়ি আজ পর্যন্ত তাঁকে বউমা হিসেবে মেনে নিতে পারেননি।
View this post on Instagram
তবে মৃদুলা জানান, তাঁর শ্বশুরমশাই এই বিয়েতে অত্যন্ত খুশি ছিলেন। তিনি প্রথম থেকেই তাঁকে বউমা হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন। কারণ শিক্ষিত মেয়ে তিনি খুবই পছন্দ করতেন। বিএড পড়াকালীন নিজের বাড়িতে পঙ্কজের কথা জানিয়েছিলেন মৃদুলা। পঙ্কজ তখন সবে সবে ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় গিয়েছিলেন। বিয়েতে সবার সম্মতি ছিল না। কিন্তু ‘মিঞা বিবি রাজি তো ক্যায়া করেগা কাজী’! তাই মধুরেণ সমাপয়েত। মৃদুলা মানেন, তাঁর ও পঙ্কজের সম্পর্কের নেপথ্যে কোনও দৈবশক্তির আশীর্বাদ রয়েছে। ২০০৬ সালে কন্যাসন্তানের মা হন মৃদুলা। মেয়ের নাম আশি রেখেছেন তিনি ও পঙ্কজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.