সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সঞ্জয় লীলা বনশালি (Sanjay Leela Bhansali) মানেই পারফেকশন। সেটের খুঁটিনাটি থেকে কস্টিউম, সবটা থাকে তাঁর নখদর্পণে। বনশালির সিনেমা মানেই জমকালো পোশাক আর গয়নার রোশনাই। ‘হীরামাণ্ডি’র ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। ওয়েব সিরিজ বানাতে গিয়ে কোনওরকম কার্পণ্য করেননি পরিচাল তথা প্রযোজক। অঢেল টাকা ঢেলেছেন ‘হীরামাণ্ডি’র (Heeramandi) নায়িকাদের গয়না এবং পোশাকের জন্য। যার বাজারদর শুনলে চমকে যাবেন।
‘হীরামাণ্ডি’ সিরিজের জন্য মুঘল আমলের সব গয়না ডিজাইন করা হয়েছিল। মোট ৮ পর্বের সিরিজে ১০ হাজারেরও বেশি ডিজাইনের সোনা-হিরে, পান্নার গয়না পরেছেন বনশালির নায়িকারা। সবমলিয়ে যার ওজন ৩০০ কেজি। আর এই গয়নাগুলোর প্রত্যেকটাই যত্ন নিয়ে হাতে বানানো। গয়নার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর রেখেছিলেন খোদ বনশালি। মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, রিচা চাড্ডা, অদিতি রাও হায়দরি থেকে শুরু করে সিরিজের প্রতিটি ক্যারেক্টার যে গয়নাগুলোয় সেজেছিলেন, সেগুলোর ডিজাইন নিজে দেখে জহুরীর মতো বাছাই করেছিলেন পরিচালক প্রযোজক। সবমিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার শুধু গয়নাই ব্যবহৃত হয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’তে।
শ্রীপরামাণি নামে গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থার দিল্লির শোরুমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে মনীষা-সোনাক্ষী, রিচা-অদিতিদের লুক সেট করেছেন বনশালি। এই ম্যাগনাম অপাসের জন্য তিন বছর ধরে দশ হাজার রকমের গয়না তৈরি হয়েছিল। যার সবকটা বনশালির নিজের পছন্দ করা। একটি টিমও তৈরি করা হয়েছিল আর্কাইভাল ঘেঁটে এই গয়নার ডিজাইনগুলো তৈরি করার জন্য। দুর্মূল্য বসরা মুক্তো দিয়ে বানানো হয়েছে বহু নথ, টিকা, কানপাশা, নেকলেস। হিরে-মুক্তো খচিত সব মুঘল আমলের গয়না পরে শুটিং করতে গিয়ে রিচা চাড্ডা নিজেই ভেবেছিলেন, এই গয়নাগুলো পরে পালিয়ে গেলে কেমন হয়? অভিনেত্রীই নিজেই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে একথা ফাঁস করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.