প্রতীকী ছবি।
স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্য সরকারি চাকরিতে প্রায় দেড় হাজার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। চুক্তিভিত্তিক ও স্থায়ী কর্মচারী – দুরকম পদেই নেওয়া হবে কর্মী। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নিয়োগ হচ্ছে পুর-নগরোন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর ও পুলিশে। রাজ্যের প্রতিটি মহকুমায় পুলিশের জন্য একজন করে আইনি পরামর্শদাতা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই হিসাবে মোট ৯৯ জন আইনি পরামর্শদাতা নিয়োগ করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরে নেওয়া হচ্ছে চুক্তিভিত্তিক ও স্থায়ী কর্মচারী মিলিয়ে মোট ৫৮৩ জন ইঞ্জিনিয়ার। পুর দপ্তরে নিয়োগ করা হবে প্রায় ৭০০ জনকে। সবমিলিয়ে মোট ১৪৪৫ জন কর্মীকে নিয়োগ হবে সরকারের বিভিন্ন দফতরে।
সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এছাড়া ২০২৪-২৫ খরিফ মরশুমে আনুমানিক ১৮ হাজার ২০০ কোটি টাকায় ৬৮ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার ব্যাপারেও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। কৃষকদের ন্যূনতম সহায়কমূল্য দেওয়ার জন্য ১৫ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়া হবে খাদ্য দপ্তরকে। ২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছনোর টার্গেট নিয়েছে রাজ্য। সব মিলিয়ে ১ কোটি ৭৭ লক্ষ বাড়িতে জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার কথা। আগের বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের ব্যাপারে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই পথে হেঁটেই নিয়োগ হল জনস্বাস্থ্য কারিগরিতে। এছাড়া পুর দপ্তরে নিয়োগ করা হবে প্রায় ৭০০ জনকে। তাঁদের মধ্যে ৬৪ জন পরিবেশবন্ধু।
পাশাপাশি মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, গোটা রাজ্যের প্রতিটা মহকুমা অনুযায়ী, সমস্ত পুলিশ এলাকায় একজন করে আইনজীবীকেও নিয়োগ করা হবে সরকারের তরফে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, আর জি করের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফে আর জি কর পরবর্তী সময়ে আইনি পরামর্শদাতাদের সাহায্যে তদন্তে নয়া কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছিল। জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ, কৃষ্ণনগরে তরুণীর দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার, আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন, ডোমকলে শিশুকন্যাকে ধর্ষণের ঘটনা। প্রতিটি ঘটনা অত্যন্ত সংবেদনশীল। সব ক্ষেত্রেই পুলিশ এত নিখুঁতভাবে নিজের কাজ করেছে যে, বিরোধীরাও আঙুল তোলার সুযোগ পায়নি। এবার পুলিশি তদন্ত ঘিরে অবাঞ্ছিত প্রশ্ন এড়াতে প্রতিটি মহকুমায় রাজ্যের তরফে আইনি পরামর্শদাতা নিয়োগ করার উদ্যোগ নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, দেউচা-পাচামি নিয়ে জিরো টলারেন্সের কথা জেলাশাসকদের বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “দেউচা-পাচামিতে কেউ কেউ ডিস্টার্ব করার চেষ্টা করছে। অন্য কারও হস্তক্ষেপ মানব না। আমরা প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ দিয়েই কাজ করছি।” মঙ্গলবার রাজ্যে আসছে অর্থ কমিশনের দল। নবান্ন সভাঘরে ওই দলের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। থাকবেন অমিত মিত্র এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.