নয়াদিল্লি : পাঞ্জাবের জলন্ধরের বাসিন্দা রচিত আগরওয়াল এ বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইন পরীক্ষায় ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়েছে। আইআইটি বম্বেতে এবার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চায় ১৮ বছরের এই কৃতী ছাত্র।
জুনিয়র ছাত্রছাত্রী যারা আইআইটিতে পড়তে চায় কিন্তু অঙ্ক ও ফিজিক্সে ভয় পায় তাদের জন্য রচিতের বার্তা, “বিষয়ের গভীরে ঢোকার আগে ম্যাথস, ফিজিক্সের নাম শুনে আগে থেকেই অনেকে ভয় পেয়ে যায়। নিজের উপর অন্ধবিশ্বাস তৈরি করো আগে। নিজেকে বলতে থাকো, ‘হ্যাঁ, আমি পারব। আমাকে পারতেই হবে।’ একবার এই বিশ্বাস তৈরি হয়ে গেলে ভীতি কেটে যাবে। ভিত মজবুতের জন্য কম্পিটিটিভ পরীক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি এনসিইআরটির বইও খুঁটিয়ে পড়া উচিত।”
রচিতের কথায়, “আমার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার তেমন লক্ষ্য ছিল না। আসলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বেশ পড়াশোনা করতে একদমই চাইতাম না। ছোটখাটো জিনিস থেকেও মোটিভেশন পাওয়া যায়। সেটা যে কোনও জিনিসই হোক না কেন। ক্লাস টেন পর্যন্ত জাপানি অ্যানিমেটেড সিরিজ ‘ড্রাগন বল জেড’ খুব দেখতাম। সেখানকার গোকু চরিত্রটি আমাকে অনুপ্রাণিত করে। সে পৃথিবীকে শয়তানের থেকে বাঁচাত। সেই চরিত্র আমাকে ফোকাসড হতে উদ্বুব্ধ করে। এছাড়া বিটস পিলানির কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া দাদা সাক্ষম আগরওয়ালও পড়াশোনার প্রতি আমার আগ্রহ বাড়িয়েছে। আমি কোনওদিনই খুব পড়ুয়া ছাত্র ছিলাম না। ক্লাস টেনে ৯৪ শতাংশ পেয়েছিলাম। যা এখনকার দিনে বেশ সাধারণ রেজাল্ট।”
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার আগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ে রচিতের বক্তব্য, “নিজেকে কন্ট্রোল করাটাই আসল। জেইই-র প্রস্তুতির আগে ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট ডিলিট করে দিয়ে রোজ ১০-১২ ঘণ্টা করে পড়তাম। প্রথমে কঠিন লাগবে। কিন্তু ধীরে ধীরে তোমার আগ্রহ বাড়লে কনসেপ্টও ক্লিয়ার হয়ে যাবে।” রচিতের বাবা নীরজ আগরওয়াল টাইলস ব্যবসায়ী, মা নীতু টিউশনি পড়ান। অবসরে সঁাতার কাটা, গান শোনা, ইউটিউব দেখা, যোগা করতে ভালবাসে এই মেধাবী তরুণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.