সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাধিক আইআইটি, এনআইটির চেয়েও র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে ওড়িশার কিট ইউনিভার্সিটি (KIIT University)। দেশ-বিদেশের নামী কোম্পানিতে মোটা বেতনের ঈর্ষণীয় চাকরি পাকা। সেই জন্যই হাজার হাজার বাঙালি পড়ুয়া পাখির চোখ করছে কিটকে। বাড়ি থেকে অনেক দূরেও নয়, ক্যাম্পাসের মনোরম পরিবেশ দেখে ভরসা বাড়ে অভিভাবকদেরও। বাংলায় এখন এমন কোনও পাড়া নেই, যেখান থেকে কিটে পড়তে যাওয়া ছেলেমেয়ে বা ভালো চাকরি করা কিটের প্রাক্তনী খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটাই বোধহয়, কিটের অলিখিত বিজ্ঞাপন।
কিট ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. অচ্যুত সামন্ত কলকাতায় এসে বাংলার ছেলেমেয়েদের জন্য বার্তা দিলেন। বাংলার বহু ছেলেমেয়ে ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ল, ম্যানেজমেন্ট, বায়োটেকনোলজি নিয়ে পড়ছে কিট ইউনিভার্সিটিতে। কোন ফরমুলায় বাকি প্রাইভেট কলেজের চেয়ে এগিয়ে কিট? এই বিষয়ে অচ্যুত বলেন, শুরু থেকেই আমরা ছাত্রছাত্রীদের আন্তর্জাতিক মানের নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছি। আমেরিকা, ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটির মতো শুধু দেখতেই নয় কিটের ক্যাম্পাস। তার সঙ্গে ফ্যাকাল্টি, স্টুডেন্ট-ফ্যাকাল্টি সম্পর্ক, নিয়মিত পড়াশোনা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে পড়াশোনা আমাদের অন্যতম ইউএসপি। এখানে নিশ্চিত প্লেসমেন্টের জন্যই আজ কিট ইউনিভার্সিটি একটা ব্র্যান্ড হয়ে গিয়েছে। যে কোনও নামী কোম্পানি আমাদের ব্র্যান্ড দেখেই আমাদের ছাত্রছাত্রীদের নিশ্চিন্তে চাকরিতে নিচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্টে ৯৫ শতাংশ ও রুরাল ম্যানেজমেন্ট, বায়োটেকনলজির মতো ফিল্ডে ১০০ শতাংশ প্লেসমেন্ট হয়।
ক্যাম্পাসের মধ্যেই মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পায় পড়ুয়ারা। এই বিষয়ে অচ্যুত বলেন, দেশে আর কোনও কলেজ-ইউনিভার্সিটির ভিতরে বহুজাতিক সংস্থার অফিস নেই। আমাদের ক্যাম্পাসে হাই রেডিয়াসের মতো কোম্পানির অফিস আছে। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা এক বছরের ইন্টার্নশিপ করে। এর জন্য মাসে ১৫ হাজার টাকা মেলে। ইন্টার্নশিপ হয়ে গেলে পারফরম্যান্স বিচার করে ৬০০-৮০০ পড়ুয়া ওই কোম্পানিতেই চাকরি পেয়ে যায়। ফিনটেকের মতো কোম্পানিও কিটের পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপ করায়।
দশম-দ্বাদশের পড়ুয়াদের উদ্দেশে কিটের প্রতিষ্ঠাতার পরামর্শ, ভালো করে মন দিয়ে আগে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতি নাও। দশম শ্রেণি অবধি পড়াশোনার ভিত মজবুত হলে তবেই উচ্চশিক্ষায় সফল হওয়া সম্ভব। দ্বাদশের পরীক্ষার পর ভালো কলেজ বাছাই করাটাও কেরিয়ারের জন্য খুব জরুরি। কে কোন কলেজে পড়েছে সেটা কিন্তু সাফল্য পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
কিট কি আইআইটির মতো হয়ে উঠছে? এই প্রশ্নের জবাবে অচ্যুত বলেন, আমি বলছি না সেরা ৭ আইআইটির সমতুল্য আমরা এখনই। তবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আইআইটি ভুবনেশ্বর ও এনআইটি রাউরকেলা এবং মেডিক্যালে এইমস ভুবনেশ্বরের চেয়ে এনআইআরএফ র্যাঙ্কিয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই। অন্য অনেক আইআইটি, এনআইটিকে পিছনে ফেলে আমরা এগিয়ে গিয়েছি।
সমাজ গড়ে তোলারও বার্তা দেন কিটের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. অচ্যুত সামন্ত। তাঁর কথায়, আগামী ৩০ বছর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাহিদা থাকবেই। কিন্তু সবচেয়ে বাড়বে হেলথ সেক্টরের কাজ। আমি এবার সাধারণ মানুষের উপকারের জন্য গ্রামীণ এলাকায় ওপিডি ক্লিনিক, হাসপাতাল গড়ে তুলতে চাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.