ফাইল ছবি
বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: হাতি, চিতাবাঘ-সহ বন্যপ্রাণের হামলা বাড়ছে চা বাগান ও বনবস্তি এলাকায়। যার জেরে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Vote 2024)আগে প্রচার নিয়ে চিন্তায় শাসক-বিরোধী প্রত্যেকে। মূলত আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ওই সমস্যা বেড়েছে। বনদপ্তর (Forest Department) থেকে নজরদারি বাড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বনদপ্তরের উত্তরবঙ্গের বনপাল এসকে মোলে বলেন, “উত্তরবঙ্গের হাতির করিডর এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও নতুন যে এলাকাগুলো হাতি ব্যবহার করছে সেখানেও নজরদারি চলছে।”
রবিবার রাতে নাগরাকাটার বন্ধ বামনডাঙা চা বাগানে ফের হাতির (Elephant)হামলায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, জয়ন্তী, বীরপাড়া, জলপাইগুড়ির পানঝোড়া, ডামডিম, শিলিগুড়ি মহকুমার মানঝা, বড় মণিরাম, বুড়াগঞ্জ, হাতিঘিসা, হাসখোয়া এলাকায় হাতির হামলা হয়েছে। শিলিগুড়ি শহরের এনজেপি এলাকাতেও দলছুট হাতি ঢুকেছে। গরম বাড়তে লোকালয়ে বুনোদের আনাগোনা বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে শিলিগুড়ি মহকুমায় ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু কৃষক সভার ব্লক সম্মেলনগুলোতে বুনো হাতির তাণ্ডব নিয়েই আলোচনায় বেশি সময় কাটছে।
৩ মার্চ খড়িবাড়ি এলাকায় সম্মেলনে হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে বনদপ্তরের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তাব রেখেছেন কৃষক সভার স্থানীয় নেতৃত্ব। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা সিপিএমের দার্জিলিং জেলা কমিটির সদস্য তাপস সরকার বলেন, “মহকুমার জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় কর্মীরা ভোট প্রচারের কাজ কেমন করে করবেন সেটাই ভেবে পাচ্ছি না। খুবই খারাপ পরিস্থিতি হয়ে আছে। আমরা বনদপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসব।”
প্রায় একই সুরে সমস্যার কথা জানান মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মন। তিনি বলেন, “প্রায়দিন লোকালয়ে হাতি বের হচ্ছে। এবার কিছু এলাকায় বিকেলের পর ভোটের প্রচার করা মুশকিল হবে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বন দপ্তরের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে।” তরাই এলাকার তুলনায় পরিস্থিতি অনেক বেশি উদ্বেগজনক ডুয়ার্সে। এখানে হাতির হামলায় বনকর্মীরও মৃত্যুর খবর মিলছে। শুধু হাতি নয়। লোকালয়ে চিতাবাঘ ও বাইসনের উপদ্রব বেড়েছে। কিছু এলাকায় খাঁচা বসিয়ে চিতাবাঘ ধরাও হচ্ছে। আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল নেতা মৃদুল গোস্বামী জানান, সমস্যার কথা বনদপ্তরকে জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থাও নিতে শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.