রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: বিজেপির প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল যুব নেতার বিরুদ্ধে৷ যদিও ঘাসফুল শিবিরের তরফে গেরুয়া শিবিরের দাবি নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে৷ অভিযোগ-পালটা অভিযোগকে কেন্দ্র করে ভোটের ঠিক আগে সরগরম আলিপুরদুয়ার৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চাইছে বিজেপি৷
আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী জন বারলাকে নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে কোনও কোন্দল না থাকলেও, বিভিন্ন জায়গাতেই শীর্ষ নেতৃত্বের মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে অসন্তোষের অন্ত নেই রাজ্য নেতৃত্বের৷ আবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো বিজেপির মিছিলে ঢুকে পড়ে ‘হামলা’ চালানোর অভিযো উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ শুক্রবার সকালে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী জন বারলা রেলবাজার এলাকায় প্রচার করছিলেন৷ সেখানেই জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য দলীয় কর্মী সমর্থক৷ অভিযোগ, সেই মিছিলে আচমকা ঢুকে পড়েন যুব তৃণমূল নেতা তপেন কর৷ বিজেপি প্রার্থীর উদ্দেশে ‘দূর হঠো’ স্লোগানও দিতে থাকেন তিনি৷ আচমকা তৃণমূল নেতার এমন আচরণে হতচকিত হয়ে যান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা৷ ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করেন প্রার্থী স্বয়ং৷ এভাবে প্রচারে বাধা দিয়ে তৃণমূল নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন জন বারলা৷ আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার গলাতেও একই সুর৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘যুব তৃণমূল নেতার এই আচরণে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে৷ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এ আচরণ মোটেও কাম্য নয়৷ আমরা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷’’
বিরোধী বিজেপি তাঁর এই আচরণে যতই ক্ষুব্ধ হোক না কেন, তাতে কিছুই যায় আসে না যুব তৃণমূল নেতা তপেন করের৷ কৃতকর্মের জন্য এতটুকুও আপশোস নেই তাঁর৷ পরিবর্তে তপেন বলেন, ‘‘বাংলা ভাগের চক্রান্ত করেছেন জন বারলা৷ তাঁর কোনও অধিকার নেই ভোটারদের কাছে ভোট চাওয়ার৷ তাই বাধা দিয়েছি জনকে৷’’ ভোটের আবহে যুব তৃণমূল নেতার এই আচরণ সত্যিই দলীয় নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলেছে৷ তবে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দলের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছুই শোনা যায়নি৷
দেখুন সেই ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.