Advertisement
Advertisement

Breaking News

Gym

দুর্ঘটনা নাকি খুন? শরীরচর্চা করতে গিয়ে মাহেশে জিমেই রহস্যমৃত্যু যুবকের

শরীরচর্চার সময় কেন জিমে প্রশিক্ষক ছিলেন না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Youth's body recover from a gym at Mahesh । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 17, 2021 2:13 pm
  • Updated:July 17, 2021 2:13 pm  

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: জিমেই (Gym) রহস্যমৃত্যু যুবকের। পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁকে। যদিও জিম কর্তৃপক্ষ সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। শরীরচর্চার সময় ডাম্বেল বুকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলেই জানিয়েছে জিম কর্তৃপক্ষ। হুগলির শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।

মাহেশের (Mahesh) নীলমণি ঘোষ রোডের বাসিন্দা অরূপ কুমার সিং। প্রায় প্রতিদিনই শরীরচর্চা করতে জিমে যেতেন ২৬ বছর বয়সী অরূপ। শুক্রবার সন্ধেয় তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে সেদিন জিম সেরে আর বাড়ি ফেরেননি অরূপ। দীর্ঘক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও অরূপ বাড়ি না ফেরায় সন্দেহ হয় পরিজনদের। জিমে গিয়ে খোঁজখবর নেন তাঁরা। জানতে পারেন অরূপের মৃত্যু হয়েছে। জিম কর্তৃপক্ষের দাবি, শরীরচর্চার সময় বুকে ডাম্বেল পড়ে যায় তাঁর। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। যদিও পরিজনদের দাবি, অরূপের গায়ে জুতোর চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তাই এটি কোনও দুর্ঘটনা নয়। অরূপকে খুন করা হয়েছে। তবে কেন অরূপকে খুন করা হতে পারে, সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি জিম কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: Corona Vaccine: একসঙ্গে টিকার জোড়া ডোজ! অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে বাঁকুড়ার মহিলা]

এই ঘটনার পর অরূপের দেহ উদ্ধার করে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ (Police)। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। খুন নাকি দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে অরূপের, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে যুবকের মৃত্যুর পর জিম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। নিয়মানুযায়ী জিমে কেউ শরীরচর্চা করার সময় প্রশিক্ষকের উপস্থিত থাকার কথা। তবু কেন অরূপ একা শরীরচর্চা করছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কতক্ষণ সময় জিমে অরূপ একা ছিলেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন দীর্ঘক্ষণ ওই যুবকের দিকে জিম কর্তৃপক্ষ কোনও নজর দিল না, সে বিষয়টিও তদন্তসাপেক্ষ। তবে মাত্র ২৬ বছর বয়সে ছেলের রহস্যমৃত্যু মানতে পারছেন না অরূপের পরিবারের কেউ। চোখের জলে ভাসছেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: করোনা থাকলেও রিপোর্ট নেগেটিভ! রাজ্যে ৪০ শতাংশ শিশুর ক্ষেত্রেই ঘটছে এমন, উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement