নন্দন দত্ত, বীরভূম: আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের (Rampurhat Medical College) ভিতর ঢুকে শুক্রবার রাতে দাপিয়ে বেড়াল এক দুষ্কৃতী। চিকিৎসক, নার্সদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে রাতে ঢুকে পড়ে সিসিইউর কেবিনে। যাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ায় মেডিক্যাল কলেজে। প্রশ্ন ওঠে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।
গভীর রাতে কলেজের সহকারী সুপার ঈশ্বর চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে হানিফ শেখ নামে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়েছে। উল্লেখ্য ভাদু শেখ খুনের মামলায় রামপুরহাট ভাঁড়শালা মোড়ের এই হানিফ শেখকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে শুক্রবারের রাতের ঘটনায় আতঙ্কিত মেডিক্যাল কলেজের নার্স থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা।
শুক্রবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ এক যুবক জোর করে সিসিইউতে ঢুকে তাঁর রোগীর সঙ্গে কথা বলতে চান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নির্দিষ্ট সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোগীর আত্মীয়দের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। হানিফ শেখকে বাধা দিলে তিনি হুমকি দেন। কর্তব্যরত নার্সরা জানান, “আমরা সে সময় ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসককে ডাকতে যাই। এসে দেখি ওই ব্যক্তি সিসিইউয়ের ভিতরে ঢুকে তাঁর রোগীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। আমরা তৎক্ষণাৎ তাঁকে বাইরে যেতে বলি। কারণ তিনি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঢুকেছেন।” নার্সদের আরও দাবি, “ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। আমরা আপত্তি জানালে নিজের জামার নিচে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেন। আমরা ভয়ে পিছিয়ে আসি। বাইরে এসেও ওই ব্যক্তি হুমকি দিতে থাকেন। বলেন, তিনি স্থানীয় যুবক। বাইরের জগত তাঁর হাতে চলে।”
বেশ কিছুক্ষণ সিসিইউয়ের সামনে এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায়। সহকারী সুপার ঈশ্বর চট্টোপাধ্যায় জানান, “ওই ওয়ার্ডে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকের কাছে অভিযোগ পেয়ে রাতেই আমরা রামপুরহাট থানায় লিখিতভাবে জানায়।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে. মৌখিক অভিযোগ পেয়েই হানিফকে হাসপাতাল চত্বর থেকে রাতেই আটক করা হয়। অভিযোগের পরে তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন-সহ অন্যান্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.