চন্দ্রজিৎ মজুমদার: বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদে পরকীয়া করতে গিয়ে বেদম মার খেল যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার বড়োয়া থানার ফতেপুর মাঝিপাড়া এলাকায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে। ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গণপিটুনির শিকার হওয়া যুবকের নাম প্রসেনজিৎ হাঁসদা। তিনি বীরভূমের সহজ গ্রামের বাসিন্দা। মাঝিপাড়ার জবা মাঝির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই সন্তানের মা জবা। স্বামীর সঙ্গে অনেকদিন ধরেই বনিবনা হয় না। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বহুদিন ধরেই বাপের বাড়িতে এসে উঠেছেন। বাপের বাড়িতে থাকাকালীনই তাঁর সঙ্গে আদিবাসী যুবক প্রসেনজিতের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
জবার বাবা মানকর হেমরমই প্রথম প্রসেনজিৎকে মেয়ের ঘরে ঢুকতে দেখেন। তিনি জানান, মেয়ের ঘরে অচেনা যুবককে ঢুকতে দেখেই তিনি বাইরে থেকে তালা দিয়ে দেন। তারপর প্রতিবেশীদের খবর দেন। জানান, তাঁর মেয়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েছে, আর এর একটা মীমাংসা করতেই হবে। অভিযোগ, এরপরই প্রসেনজিৎ হাঁসদাকে পাকড়াও করে গ্রামের বাসিন্দারা মারধর করেন। প্রসেনজিৎ ও জবাকে বেঁধে রাখা হয়।
সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে প্রসেনজিৎ ও জবাকে বাঁধন থেকে মুক্ত করা হয়। একে অপরকে বিয়ে করতে চান তাঁরা, একথা মুচলেখা দিয়ে জানান। প্রসেনজিৎ হাঁসদার কথায়, “আমার সঙ্গে জবাব সম্পর্ক বহুদিনের। রবিবার ও আমাকে ফোন করে ডাকে। সেই মত আমি এসেছিলাম। আমি ওকে বিয়ে করতে চাই।” একই বক্তব্য জবা মাঝির। প্রসেনজিতের কোনও দোষ নেই বলেই জানান তিনি। দুই প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রেমের সম্পর্কে থাকলে কারও কিছু বলার নেই, এমনটাই মনে করছে স্থানীয় পুলিশ। তবে গণপিটুনির অভিযোগে গ্রামের ২ বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.