ছবি: প্রতীকী
তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু গরু পাচারকারীর। প্রাণ গেল অবলা গরুরও। শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মুড়িখাওয়া এলাকার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই জোর চাঞ্চল্য। যদিও গুলিতে গরু পাচারকারীর মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি বিএসএফ। পুলিশও এ বিষয়ে কোনও কথা বলেনি।
শুক্রবার ভোরে মুড়িখাওয়া এলাকায় মহানন্দা নদীর ধারে এক যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবক মুড়িখাওয়া এলাকার বাসিন্দা। কাঁটাতারহীন সীমান্তের ওই গ্রামে বিভিন্ন সময় গরু পাচারের অভিযোগ ওঠে। নিহত ওই যুবকের সঙ্গে তিনটি গরু ছিল। দু’টি গরু গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনায় একটি গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
গ্রামবাসীদের অনুমান, গরু বাংলাদেশে পাচারের সময় বিএসএফ গুলি চালায়। সেই গুলিতেই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর ফাঁসিদেওয়া থানার ওসি সুমন কল্যাণ সরকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পাশাপাশি, বিএসএফের উচ্চপদস্থ অধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। যুবকের দেহের কোনও দাবিদার এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছে বিএসএফ।
উল্লেখ্য, এর আগে গত জুনে বিএসএফের গুলিতে পাচারকারী সন্দেহে প্রাণ যায় মুর্শিদাবাদের এক যুবকের। পুলিশের অনুমান, সীমান্তের পাটের (Jute) জমির আড়ালে ফেনসিডিল পাচার করছিল ওই রুহুল মণ্ডল নামে ওই যুবক। সেসময় সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরা তাঁকে আটকাতে গেলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁকে থামাতে বিএসএফ গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে ওই যুবক। তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সরাসরি যুবকের বুকে গুলি (Shot Dead) লাগে। পরিবার দাবি করে, রুহুলের মৃত্যু হলেও প্রথমে পুলিশ বা বিএসএফের তরফে তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি। নালার ধারে পাটের জমিতে তাঁর মৃতদেহ পড়েছিল। তা দেখতে পেয়ে মাঠের অন্য কৃষকরা বাড়ি ফিরে যান। তাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.