দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: মাতলার চরে থাকা কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে প্রতিদিন খাওয়ার বিলি করছেন ছাত্র-যুবরা। রোজ রয়েছে আমিষ ও নিরামিষ খাবারের ব্যবস্থা। কখনও ভাত কখনও খিচুড়ি যেমন জুটছে তেমনি খাওয়াচ্ছেন তাঁরা। আর তাঁদের এই উদ্যোগে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন মাতলা চরে থাকা মানুষগুলো।
দিন আনি, দিন খাই পরিবারগুলি মাতলা নদীর পাড়ে বসবাস করতেন। তাঁরা কেউ পেশায় মৎস্যজীবী, আবার কেউ অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। লকডাউনের জেরে কারণে সকলেই প্রায় কর্মহীন হয়ে বসে আছেন বহুদিন। আপাতত আমফানের তাণ্ডবে তাঁদের মাথা গোঁজার আশ্রয়টুকুও হারিয়েছেন। ফলে প্রতিদিনের খাবার জোটানোটাই তাঁদের কাছে কঠিন। সেই সহায়সম্বলহীন মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন এলাকার ছাত্র, যুবরা। জানা গিয়েছে, দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হয় খাওয়ানো। প্রতি পরিবারের একজন করে এসে বাড়ির অন্য সকলের খাবার নিয়ে যান।
কয়েকজন ছাত্র-যুবরা মিলে এই কাজ করছেন। এলাকা থেকে তুলছেন চাঁদা। বাকিটা দিচ্ছেন নিজেদের পকেট থেকে। এদিন এই কমিউনিটি কিচেনের পরিদর্শন করেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও আরএসপির প্রাক্তন বিধায়ক ও মন্ত্রী সুভাষ নস্কর। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখেছেন তারা। আরও বেশি সংখ্যক কমিউনিটি কিচেন এর খোলার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। কমিউনিটি কিচেনে দায়িত্বে থাকা আলিফ লস্কর, সৌরভ ঘোষরা বলেন, “মানুষ খেতে পাচ্ছেন না। বহু মানুষের দিন চলছে ত্রাণের উপরে নির্ভর করে। আর তাই আমরা ছাত্র, যুবদের তরফ থেকে সেইসব দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।”
এদিকে এদিন ঝড়খালি তো প্রথম ত্রান পৌঁছল তৃণমূলের যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে। বাসন্তী ঝড়খালি গ্রাম মাতলা নদীর জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝড়খালি, ভরতগড়, রানিগড়-সহ বিভিন্ন এলাকা। ক্যানিং ব্লকের যুব সভাপতি পরেশ রামদাসের নেতৃত্বে এই ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয় ঝড়খালিতে। শুধু তাই নয়, সকলের মধ্যে মাস্ক স্যানিটাইজার ও সাবান বিলি করা হয়। সবমিলিয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপের মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসছে যুবসমাজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.