নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর আত্মহত্যার চেষ্টা প্রেমিকের৷ অভিযুক্তকে ঘেরাও করে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয়রা৷ পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রক্ষা পায় ওই যুবক৷ এই ঘটনার সাক্ষী রইল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার বাঁশঘাটা এলাকা৷
বাগদা থানার হামকুড়ার বাসিন্দা সুজন দাসের সঙ্গে বাঁশঘাটার বাসিন্দা সুনীতা মণ্ডলের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়৷ দু’জনের সম্পর্ক মেনে নেননি পরিবারের কেউই৷ স্থানীয়দের দাবি, ইদানীং প্রায় এ নিয়ে সুজন ও সুনীতার ঝগড়াঝাটি হত৷ সুজনের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখারও চেষ্টা করছিল ওই কিশোরী৷ মঙ্গলবার বিকেলে সুনীতার বাড়িতে বাবা-মা ছিলেন না৷ একাই ছিল সে৷ সেই সুযোগে বাড়িতে ঢোকে সুজন৷ অভিযোগ, কিশোরীর সঙ্গে একপ্রস্থ ঝগড়াও করে সে৷ ঝগড়া চলাকালীন শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় সুনীতাকে৷ ইতিমধ্যেই মাঠের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে আসেন কিশোরীর মা৷ তিনি দেখেন, বাড়িতে নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছে সুনীতা৷ অনেক ডাকাডাকিতেও সাড়া না পাওয়ায় বুঝতে পারেন মারা গিয়েছে তাঁর মেয়ে৷ আচমকাই ওই কিশোরীর মা দেখতে পান তাঁর বাড়ির সামনেই ঘোরাঘুরি করছে এক যুবক৷ এরপর তিনি চিনতে পারেন ওই যুবকই সুজন৷ কিশোরীর মায়ের চিৎকারে ততক্ষণে জড়ো হয়ে গিয়েছেন স্থানীয়রা৷ সুজনকে ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা৷ গণপিটুনিও দেওয়া হয় তাকে৷ এরপর একটি ঘরে বন্ধ করে রেখে দেওয়া হয় সুজনকে৷ খবর দেওয়া হয় বাগদা থানায়৷ ইতিমধ্যেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সুজন৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুজনকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে৷ তাকে বাগদা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে৷ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আপাতত অসুস্থ সুজন৷ তবে প্রাণহানির কোনও আশঙ্কা নেই৷
কিশোরীর মায়ের দাবি, সুজন শ্বাসরোধ করে খুন করেছে তাঁর মেয়েকে৷ অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি৷ বাগদা থানার পুলিশ কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে৷ সুস্থ হয়ে ওঠার পর জেরা করা হবে সুজনকেও৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.