নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: রোজকার মতোই কাজে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু, রাতে বাড়ি ফেরেননি। শুক্রবার সকালে বাড়ির কাছে মাঠ থেকে এক যুবকের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার তেহট্টের ছাতিনায়। ঘটনাস্থল থেকে মৃতের সাইকেল, টিফিন বক্স ও একটি মদের বোতল পাওয়া গিয়েছে।
[ সৌদি আরবে মৃত্যু, ১৩ দিন পর শ্রমিকের দেহ ফিরল নদিয়ার বাড়িতে]
মৃতের নাম সুফল বিশ্বাস। তেহট্টের ছাতিনার আমতলায় বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে থাকতেন বছর সাতাশের ওই যুবক। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তিন ভাইয়ে্র মধ্যে সুফলই বড় ছিলেন। পড়াশোনার কারণে তাঁর এক ভাই থাকেন বোলপুরে আর অন্যজন কল্যাণীতে। সুফলের বাবা পেষাই কলের শ্রমিক। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন বাড়ির বড় ছেলে সুফল। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, রোজকার মতোই বৃহস্পতিবার সকালেও কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও ছেলে বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। রাতে ছেলেকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন সুফলের বৃদ্ধ বাবা-মা। কিন্তু, তাঁকে পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে ২ কিমি দূরে একটি মাঠে সুফল বিশ্বাসের অগ্নিদগ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় তেহট্ট থানায়। মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল মিলেছে মৃতের সাইকেল, টিফিন বক্স ও একটি মদের বোতল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুনে পুড়ে সুফলের দেহটি কালো হয়ে গিয়েছিল। আশেপাশে প্রায় একশো মিটার পর্যন্ত মাঠের ঘাস-পাতাও আগুনে পুড়ে গিয়েছে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে তেহট্টের ছাতিনার আমতলা এলাকায়।
এলাকায় সহজ-সরল প্রকৃতির ভাল ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিলেন সুফল। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পরিবারের অনটন দূর করতে প্রাণপাত করতেন তিনি। সুফলের কোনও শক্রও ছিল না। তাঁর এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। প্রাথমিক তদন্তে ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করছে পুলিশ।
[ ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ শিকার, ডুয়ার্সে বিপন্ন নদীর বাস্তুতন্ত্র]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.