অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়েছে অন্যত্র। তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না প্রেমিক। উপায় খুঁজছিলেন মনে মনে। কিন্তু প্রেমিকার বিয়ে আটকাতে তেমন কোনও পথ পাচ্ছিলেন না। তাই সরাসরি ধরনার (Dharna) পথই বেছে নিলেন প্রেমিক। বর্ধমান থেকে সোজা পশ্চিম মেদিনপুরের বেলদায় (Belda) প্রেমিকার বাড়ি গিয়ে হাজির তিনি। হেমন্তের রাতে সঙ্গে একটি কম্বল, আর নিজের হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড। তাতে কাঁপা কাঁপা অক্ষরে ফুটে উঠেছে একটি বার্তা – ‘আমার ভালোবাসার দাম দাও।’ এটুকু সম্বল করেই প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছেন প্রেমিক।
যুবকের নাম পুষ্পেন্দু মজুমদার। বর্ধমানের (Burdwan) বাসিন্দা তিনি। প্রেমিকা অর্পিতা দাসের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার পচসাবেটিয়া গ্রামে। পুষ্পেন্দুর সঙ্গে অর্পিতার বছর দুই ধরে সম্পর্ক। কিন্তু সেই সম্পর্ককে গ্রাহ্য না করে, বাড়ির মেয়ের অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেছে অর্পিতার পরিবার। চাপে পড়ে তা মেনেও নিয়েছেন অর্পিতা। স্বভাবতই সেই ধাক্কা মোটেই সামলাতে পারছেন না পুষ্পেন্দু। প্রেমিকার বাড়ি গিয়ে কাকুতি-মিনতি করে বিয়ে রোখাও সম্ভব নয় তাঁর কাছে। অগত্যা, কলমকেই শব্দের চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র করে প্রেমের যুদ্ধে ঝাঁপিয়েছেন পুষ্পেন্দু।
পরনে নীল সোয়েটার, মাফলার। লাল একটি কম্বল বিছিয়ে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনায় বসে পড়েছেন পুষ্পেন্দু। সঙ্গে খয়েরি কাগজের প্ল্যাকার্ডের উপর কালো অক্ষরে লেখা একটাই কথা – ‘আমার ভালোবাসার দাম দাও।’ সেই খবর তাঁর কানে পৌঁছতেই, সুদূর বর্ধমান থেকে গিয়ে বেলদায় প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন প্রেমিক পুষ্পেন্দু। প্রেমিকার পরিবারের প্রতি তাঁর একটাই দাবি, অন্যের সঙ্গে নয়, তাঁদের মেয়ে অর্পিতাকে তাঁর সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে। নাহলে তিনি প্রেমিকার বাড়ির সামনে থেকে নড়বেন না। ধরনা চালিয়েই যাবেন, সে যত কষ্টই হোক না কেন। প্রেমিকাকে পেতে এটুকু সংগ্রাম তো তুচ্ছই!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.