ছবি: পলাশ পাত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরামহীন বৃষ্টি৷ বন্যা ও ধসে বিপর্যস্ত গোটা রাজ্য৷ কেরলের কাজ করতে গিয়ে হড়পা বানে ভেসে গেলেন এ রাজ্যের এক যুবক৷ রবিবার সকালে তাঁর মৃত্যসংবাদ পেয়েছেন পরিবারের লোকেরা৷ শোকের ছায়া নদিয়ার নাকাশিপাড়ায়৷
[ লালগড়ে ফের রয়্যাল বেঙ্গল আতঙ্ক, জঙ্গল থেকে ফিরল ক্ষতবিক্ষত বাছুর]
মৃতের নাম দিলওয়ার মল্লিক৷ বাড়ি নাকাশিপাড়ার চৌমুহা গ্রামে৷ এবছরই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছিলেন দিলওয়ার৷ কিন্তু, তাঁকে কলেজে পড়ানোর সামর্থ্য ছিল না পরিবারের৷ গত এপ্রিল মাসে কেরলে কাজ করতে গিয়েছিলেন ওই তরুণ৷ দিলওয়ার মল্লিকের পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, কোঝিকোড় শহরে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তিনি৷ গত বুধবার শেষবার পরিবারের সঙ্গে কথা হয় দিলওয়াল মল্লিকের৷ তখন কেরলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কথা বাড়ির লোককে জানিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু, তিনি নিজেই যে বন্যার জলে ভেসে যাবেন, তা কে জানত! পরিবারের লোকেদের দাবি, গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি ও হড়পা বান এসেছে কোঝিকোড়ে৷ বানের জলেই ভেসে গিয়েছেন দিলওয়ার৷ তাঁর সঙ্গে এ রাজ্য থেকে কেরলে কাজ করতে গিয়েছিলেন আরও অনেকে৷ দুর্ঘটনার পর তাঁরাই ফোন নম্বর জোগাড় করে বাড়িতে খবর দেন৷ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়ার চৌমুহা গ্রামে৷ রোজগেরে ছেলেকে হারিয়ে শোকে দিশেহারা পরিবারের লোকেরা৷ শুধু নদিয়াই নয়, মুর্শিদাবাদ, মালদহের মতো প্রান্তিক জেলাগুলি থেকে ভিন রাজ্যে বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতে কাজ করতে যান অনেকেই৷ বেশিরভাগই হয় সোনা কিংবা জরিশিল্পী অথবা নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন৷
এদিকে গত কয়েক দিন লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে কেরলে৷ রাজ্যের বহু জায়গায় ধস নেমেছে৷ যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন৷ বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে তিনশোরও বেশি মানুষ৷ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ গৃহহীন প্রায় তিন লক্ষ মানুষ৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ৷ রবিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ৫৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন উদ্ধারকারীরা৷
[চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বশান্ত, মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ের পায়ে বেড়ি পরালেন বাবা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.