প্রতীকী ছবি।
শাহজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: সুদূর আরবভূমে কাজ করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে বাংলার যুবক। সোমবার ভোরে বাহরিনের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বছর উনচল্লিশের আবদুল রহমান মহম্মদ খায়রুল রিজভির। তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় দেহ দেশে ফেরানো হল না। বাহরিনেই হয় শেষকৃত্য। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাতে শামিল করা হয়েছে পরিবারকে।
বছর তিনেক আগে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের কাঁকুড়িয়ার বাসিন্দা পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রিজভি চাকরি পেয়ে চলে যান বাহরিনে। সেখানে এক বেসরকারি সংস্থায় ইলেক্ট্রনিক্স টেকনোলজি স্পেশ্যালিস্ট পদে কর্মরত ছিলেন। লকডাউনে এত দূর থেকে বাড়ি ফিরতে পারেননি। বেশ কয়েকদিন আগে করোনা পজিটিভ হন রিজভি। সাতদিন থেকে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন বলে সূত্রের খবর। এরপর সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। বাহরিনের ওই সংস্থাই মুর্শিদাবাদের কাঁকুড়িয়ার বাড়িতে খবর পাঠায়। শোক ভেঙে পড়েন সদস্যরা। রিজভির চার বছরের এক পুত্রসন্তান আছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে রিজভি প্রাণ হারিয়েছেন। এই অবস্থায় দেহ দেশে ফেরানো সম্ভব নয়। তা সত্ত্বেও পরিবারের আবেদন মেনে তা বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু শেষপর্যন্ত আবেদন মঞ্জুর করা সম্ভব হল না। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনায় মৃত্যুর কারণে দেহ বাহরিন থেকে দেশে ফেরানো যাবে না। মঙ্গলবার বাহরিনেই তাঁকে দাফন করা হচ্ছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেখানে যোগাযোগ করে শেষকৃত্যের সাক্ষী থাকছে পরিবার। বাড়ি ছেড়ে এত দূরে চাকরি করতে যাওয়া ছেলেকে যে শেষ দেখটুকু দেখতে পাবেন না, তা এখনও ভাবতে পারছেন না পরিবারের কেউ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.