শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ওষুধের দোকানের সামান্য কর্মচারী। কিন্তু, আইপিএলে বাজি ধরার নেশা ছিল। সেই নেশাই শেষপর্যন্ত কাল হল। ঋণ মেটাতে না পেরে আত্মহত্যা করলেন জলপাইগুড়ির এক যুবক। গত ১৮ এপ্রিল ধূপগুড়ির বাড়িতে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বছর বাইশের ওই যুবক। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল মারা যান তিনি। জানা গিয়েছে, পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার করে আইপিএলের ম্যাচে বাজি ধরেছিলেন আত্মঘাতী যুবক। কিন্তু, বাজিতে হেরে যান তিনি। বাড়িতে রোজই তাগাদা করতে আসতেন পাওনাদাররা। ছেলের যে ক্রিকেট বেটিংয়ের নেশা ছিল, তা স্বীকার করেছেন মৃতের বাড়ির লোকেরা।
[আইপিএল ম্যাচে বাজি ধরে সর্বস্বান্ত, ফাঁসিদেওয়ায় আত্মঘাতী যুবক]
আত্মঘাতী ওই যুবকের নাম তন্ময় বসাক। বাড়ি ধূপগুড়ি শহরের পালপাড়ায়। শহরের থানা রোড এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে কাজ করতেন তন্ময়। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ক্রিকেট ম্যাচে বাজি ধরাটা কার্যত নেশায় পরিণত হয়েছিল ওই যুবকের। এরআগে বহুবার আত্মীয় ও পরিচিতদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাজি ধরেছিলেন তন্ময়। সম্প্রতি এই ক্রিকেট বেটিংয়ের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার করেছিলেন তন্ময়। কিন্তু, প্রিয়দল হেরে যাওয়া সেই টাকা আর ফেরত পাননি। এদিকে বাড়িতে প্রায় রোজই তাগাদা করতে আসতেন পাওনাদাররা। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে, ১৮ এপ্রিল ধূপগুড়ি বাড়িতে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তন্ময়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ভরতি করা হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে যমে-মানুষে টানাটানি চলে। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেই মারা যান তন্ময় বসাক। ঘটনায় এলাকার শোকের ছায়া।
[টানা ৪ দিন বন্ধ ব্যাংক, শুক্রবারের মধ্যেই সেরে রাখুন কাজকর্ম]
উত্তরবঙ্গ জুড়ে এখন আইপিএল নিয়ে ক্রিকেট জুয়ার রমরমা। গত বৃহস্পতিবার ক্রিকেট ম্যাচে বাজি ধরে টাকা খুইয়ে আত্মঘাতী হন ফাঁসিদেওয়ার শুভঙ্কর ঘোষ। শোওয়ার ঘর থেকে বছর কুড়ি ওই যুবকের ঝলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে।
[যে কোনও ধর্ষণের শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড, নয়া আইনের দাবিতে অনশনে যুবক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.