নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নবান্নে জুনিয়র ডাক্তার-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক চলাকালীন সিউড়ি হাসপাতালে হেনস্তার শিকার হলেন এক চিকিৎসক। এই ঘটনায় সুরজিৎ ঠাকুর নামে ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার বিকালে সে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত শৈবালবাবুকে হেনস্তা করে বলে অভিযোগ। তারপর বাইক নিয়ে পালাবার চেষ্টা করে। যদিও অন্য রোগীর আত্মীয়রা ওই যুবককে আটক করে প্রথমে গণধোলাই দেন। পরে হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। বর্তমানে সিউড়ি থানার পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাদের প্রাথমিক ধারণা, সিউড়ির নুড়াই পাড়ার বাসিন্দা ওই যুবক সুরজিৎ মাদকাসক্ত হতে পারে।
স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রোগী দেখছিলেন চিকিৎসক শৈবাল মজুমদার। সেসময় নুড়াই পাড়ার বাসিন্দা সুরজিৎ এসে তার বাবার জন্য ওষুধ লিখে দিতে বলে। শৈবালবাবু জানান, রোগী না দেখে ওষুধ দেওয়া হয় না। এরপর সে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। চিকিৎসককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। হাসপাতালের বাইরে এলে তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হবে বলেও চিৎকার করতে থাকা। এর ফলে জরুরি বিভাগের মধ্যে অচলাবস্থা তৈরি হয়। বিষয়টি দেখে চুপ থাকতে পারেননি ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য রোগীদের আত্মীয়রা। প্রথমে ওই যুবককে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, সে কোনও কথা শুনতে রাজি হয়নি। উলটে মারধরের হুমকি দেয়। এরপরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন ওখানে থাকা মানুষজন। সুরজিৎকে ধরে বেধড়ক মারধর করেন।
এপ্রসঙ্গে শৈবালবাবু বলেন, “এতদিনে রোগীর আত্মীয়দের দেখে মনে সাহস পেলাম। আমার ভাল লাগচ্ছে, রোগীর আত্মীয়রা এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। তাঁরাই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আমাকে রোগী দেখার পরিবেশ করে দেন।” ইএনটি চিকিৎসক অমিত কুমার ঘোষ বলেন, “আমরা নিরাপত্তা পেলে আর ভাল পরিষেবা দিতে পারব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.