সাইকেলে রক্তদানের প্রচারে সুজন অধিকারী, ছবি: রতন দে।
রাজা দাস, বালুরঘাট: রক্তদান প্রকৃত অর্থে জীবনদান। রক্তের অভাবে মৃত্যু রুখতে এবার পথে নামলেন যুবক। রক্তদান করে জীবন বাঁচান। এই আরজি নিয়েই প্রচারে নেমেছেন বছর তেইশের সুজন অধিকারী। নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা সুজন তাঁর সাইকেলটিকে বাহন করেই জেলায় জেলায় রক্তদানের প্রচার করে চলেছেন। চলতি মাসের এক তারিখে রক্তদান জীবনদানের প্রচার শুরু হয়েছে। নদিয়া থেকে সাইকেল চালিয়ে রবিবার পৌঁছেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরে। তাঁর মহৎ উদ্দেশ্যের কথা জানতে পেরে ইতিমধ্যেই ভারতীয় রেড ক্রস সোসাইটি বালুরঘাট শাখার তরফে এসেছে সংবর্ধনা। সোমবার উত্তর দিনাজপুরে পৌঁছাবেন সুজন। তারপর সেখান থেকে সোজা পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবেন।
সাইকেলে লাগানো বোর্ড ফেস্টুনে রক্তদানের আবেদন। এগিয়ে চলেছেন সুজন। ব্যাংকের গ্রাহক পরিষেবা বিভাগে কর্মরত সুজন মাঝেমধ্যেই ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন। সাইকেল নিয়ে দূরে ভ্রমণে তাঁর দারুণ আগ্রহ। এভাবেই চলছিল নতুন জায়গা দেখার পালা। সম্প্রতি তাঁর মাথায় অভিনব ভাবনা আসে। সাইকেলে ভ্রমণটিকে ব্যক্তিগত স্তরে না রেখে যদি জনকল্যাণে ব্যবহার করা যায়। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। প্রথমেই ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ব্লাড ডোনার্স অর্গানাইজেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। নিজের উদ্দেশ্যের কথা জানান। তারপর অর্গানাইজেশনের সহায়তায় সাইকেল নিয়ে পথে বেরিয়ে পড়েছেন। এবার সমতল থেকে পাহাড়ে ছড়িয়ে দেবেন রক্তদানের অঙ্গীকার। গত বৃহস্পতিবার নদিয়া থেকে যাত্রা শুরু করে রবিবার পৌঁছেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরে। সোমবার চলে যাবেন উত্তর দিনাজপুরে। তারপর সেখান থেকে সোজা দার্জিলিং হয়ে পৌঁছাবেন কার্শিয়াং। আপাতত এবার তাঁর যাত্রাপথের ইতি ঘটছে কার্শিংয়া শহরে।
সুজন অধিকারী বলেন, ‘রক্তের অভাবে মৃত্যু রোখা অবশ্যই জরুরি। তাই ব্যাপক হারে রক্তদানও জরুরি। এখন রক্ত নিয়ে ব্যবসাও হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে ও জনসচেতনতা বাড়াতেই এই উদ্যোগ নিয়েছি। সমতল থেকে রক্তদানের প্রচার শুরু করে পাহাড়ে পৌঁছে যাব। সাইকেল নিয়ে নিছক ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টিকে সার্থক রূপ দিতে পেরে আমি গর্বিত। শুধু নিজের জন্য নয়, এবার থেকে অপরের জন্য বাঁচা শুরু হোক।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.