সুব্রত বিশ্বাস: সময়মতো দোকানে আসার তাড়া ছিল। কিন্তু, ট্রেন যে নড়তেই চায় না! কান হেডফোন লাগিয়ে ট্রেনের দরজা দিয়ে উঁকি মারতে গিয়েই বেঘোরে প্রাণ গেল যুবকের। হাওড়া স্টেশনের কারশেডের কাছে চলন্ত ট্রেনের চাকায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল দেহ। অন্যদিকে, বসিরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল মা ও মেয়ের।
[মর্যাদা পাননি নেতাজি, জাতীয় ছুটি চেয়ে ফের সরব মমতা]
লিলুয়ার পটুয়াপাড়ায় বাড়ি বছর আঠাশের যুবক দুখরাম যাদবের। হাওড়া স্টেশনের বাইরে একটি খাবারের দোকানে কাজ করতেন তিনি। রোজকার মতোই মঙ্গলবার ভোরে ট্রেনে করে লিলুয়া থেকে হাওড়া আসছিলেন দুখরাম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কারশেডের কাছে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল ট্রেন। আর তাতেই অধৈর্য্য হয়ে বারবার ট্রেনের দরজা দিয়ে উঁকি দিচ্ছিলেন দুখরাম। কানে হেডফোন গোঁজা ছিল। সহযাত্রীরা বারবার সতর্ক করলেও, কোনও কথাই কানে ঢোকেনি তাঁর। একসময়ে শরীরে ভারসাম্য রাখতে না পেরে চলন্ত ট্রেনের সামনে পড়ে যান দুখরাম। চোখের নিমেষে ট্রেনের চাকায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় দেহ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে রেলপুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, কান হেডফোন থাকলেও, মৃত যুবকের মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি।
[কেউ কিছু করতে পারবে না, আত্মীয়কে মেরে সিভিক ভল্যান্টিয়ারের ‘দাদাগিরি’]
মঙ্গলবার রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাটেও। ট্রেনে ধাক্কায় মারা গিয়েছে মা ও মেয়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শীতের সকালে ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা যথেষ্ট কম ছিল। সকালে পৌনে দশটা নাগাদ বসিরহাট ও চাঁপা পুকুর স্টেশনের মাঝে মেয়ে আনিখাকে নিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিলেন সারুফা খাতুন। আচমকাই হুড়মুড়িয়ে চলে আসে একটি লোকাল ট্রেন। কুয়াশার কারণে কিছুই টের পাননি সারুফা। মা ও মেয়েকে দেখতে পাননি ট্রেনচালকও। চাকায় পিষ্ট হয়ে যান সারুফা। ট্রেনের ধাক্কায় প্রায় ২০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে তাঁর ৫ বছরের মেয়ে আনিখা। ঘটবাস্থলেই ২ জনেরই মৃত্যু হয়।
[হাসপাতালের বকেয়া মিটিয়ে খড়গপুরের যুবককে বাড়ি ফেরালেন পরিবহণমন্ত্রী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.