Advertisement
Advertisement

শ্বশুরবাড়িতে নিগ্রহের শিকার, অপমানে আত্মঘাতী যুবক

ঘটনার তদন্তে পুলিশ।

Youth committed suicide

ঘটনার তদন্তে পুলিশ।

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 10, 2019 8:00 pm
  • Updated:March 10, 2019 8:00 pm  

নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের হাতে নিগৃহীত হয়ে অপমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক যুবক। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার হোগলবেড়িয়া থানার তারাপুরে। মৃত যুবকের নাম মিরন মিঞা (২১) । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হোগলবেড়িয়া থানার পুলিশ।

[বিবেচনায় আগেকার ভোটে অশান্তি? রাজ্যে ৭ দফায় ভোট নিয়ে উঠছে প্রশ্ন]

স্থানীয় সূত্রে খবর, আগে কেরলে শ্রমিকের কাজ করতেন মিরন মিঞা নামে ওই যুবক। বছর দেড়েক আগে মিরনের প্রথম বিয়ে হয় মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির এক তরুণীর সঙ্গে। জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকে বনিবনা হচ্ছিল না তাদের মধ্যে। এরপর বছর খানেক আগে ওই তরুণী আলাদা থাকতে শুরু করে। প্রথম সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর মাস ছয়েক আগে হোগলবেড়িয়ার জাঙ্গলের বাসিন্দা এক তরুণীকে বিয়ে করেন মিরন। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই দ্বিতীয় স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন ওই যুবক। জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগে ওই যুবকের প্রথম পক্ষের স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ এনে পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারও করে। চারদিন আগে জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন ওই যুবক।

Advertisement

[মায়ের বকুনিতে অভিমানে ঘরছাড়া, অবশেষে বাড়ি ফিরল কিশোরী ]

জানা গিয়েছে, বাড়ি ফিরেই শ্বশুরবাড়ি চলে যান ওই যুবক। এরপর শনিবার রাতে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। পরে রবিবার সকালে ঘর থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে হোগলবেড়িয়া থানার পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। পরিবারের লোকের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মারধর করেছিল ওই যুবককে। সেই অপমানে আত্মঘাতী হয়েছেন মিরন। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহে আঘাতের চিহ্নও মিলেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরেও গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে, জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। যদিও মৃতের পরিবারের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।    

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement