সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: রাতের অন্ধকারে তন্ত্রসাধনা করতে শিষ্যের হাতে খুন হয়ে গেলেন এক যুবক৷ খালপাড় থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ৷ মৃতদেহের পাশে রুদ্রাক্ষের মালা, সিঁদুর ও লাল কাপড় পাওয়া গিয়েছে৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মানকরে৷ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷
[সরকারি গাছ কেটে পাচার করছে খোদ পঞ্চায়েত প্রধানই!]
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের লবণধারা এলাকার বাসিন্দা রাজু হাঁসদা৷ এলাকায় গুনিন হিসেবে পরিচিত তিনি৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ঝাঁড়ফুক করেই রোজগার করতেন রাজু৷ এলাকায় শুধু নয়, মাঝেমধ্যে বাইরেও যেতেন তিনি৷ বছর বত্রিশের ওই যুবকের দুটি বিয়ে৷ প্রথমপক্ষের স্ত্রী থাকেন মানকরের কুচিডাঙায়৷ আর দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী আউশগ্রামের নতুনডাঙায়৷ সর্বক্ষণই রাজুর সঙ্গে থাকত তাঁর সাগরেদ প্রেম৷ জানা গিয়েছে, দিনভর ঝাঁকফুক করতেন রাজু৷ আর রাত নামলেই প্রেমকে সঙ্গে নিয়ে চলত তন্ত্রসাধনা৷
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মানকরের কুচিডাঙায় প্রথমপক্ষের স্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজু৷ যথারীতি সঙ্গে ছিল প্রেমও৷ রাতে কুচিডাঙার একটি খাল পাড়ে বসে তন্ত্রসাধনার আসর৷ চলে দেদার মদ্যপানও৷ বুধবার সকালে খালপাড়ে রাজ হাঁসদার রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ খবর দেওয়া হয় বুদবুদ থানায়৷ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ৷ ঘটনাস্থল থেকে রুদ্রাক্ষের মালা, সিঁদুর ও লাল কাপড় পাওয়া গিয়েছে৷ প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, প্রথমে রাজু হাঁসদা মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়৷ তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গামছায় ফাঁস লাগানো হয়৷ মৃতের সাগরেদ প্রেমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি(পূর্ব) অভিষেক মোদি জানিয়েছেন, “রক্তাক্ত অবস্থায় এক তান্ত্রিকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ এক জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে৷ মৃত এবং ধৃত ব্যক্তি একসঙ্গেই কাজ করত৷ অন্য কেউ এই খুনের ঘটনায় যুক্ত ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷’ এদিকে নেশার ঘোরে পুলিশি জেরাতেও রাজু অসংলগ্ন কথা বলছে বলে জানা গিয়েছে৷
[ ‘হুজুর মারবেন না’, কলার কাঁদি নিয়ে থানার বড়বাবুর পায়ে পড়ল চোরের দল]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.