ছবি: প্রতীকী
বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: মনসাপুজো উপলক্ষে মেলায় ঝাপান গান শুনতে গিয়েছিলেন যুবক বিপুল বর্মন (২৯)। সেখানে গন্ডগোলের মধ্যে পড়ে গেলে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় নিদারুণ অপমানে বাড়ির কাছের চূর্ণী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন বিপুলবাবু। তবে ঝাঁপ দিয়েও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। সাত সকালে নদীর ঘাটে গিয়ে স্থানীয়রাই তাঁকে ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঠিকানা জেনে বিপুলবাবুকে বাড়িতেও পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর যুবককে তড়িঘড়ি রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাট থানার আনুলিয়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, আনুলিয়া পঞ্চায়েতের সারদাপল্লিতে বাড়ি বিপুল বর্মনের। তিনি পেশায় পাইপলাইনের কর্মী। এদিকে আনুলিয়াতেই রয়েছে মনসাতলা। সেখানে প্রতিবছর বেশ আয়োজন করেই মনাসপুজো হয়। গতবছর ভিনরাজ্যে কাজে যেতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু পাড়ার মনসাপুজো মিস করতে চাননি। তাই ছুটি নিয়ে সেসময় বাড়িতেই ছিলেন। এবছর ছুটি পাবেন না বুঝতে পেরে আগে থেকেই আর কাজে যাননি। শুক্রবার মনসাতলায় মেলা দেখতে বেরিয়েছিলেন তিনি। কোনও কারণে মেলার মধ্যেই কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। অভিযোগ, সেই সময়ই যুবকের দলটি চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করে। খবর পেয়ে মেলা থেকে আক্রান্ত বিপুলকে বাড়িতে নিয়ে আসেন অভিভাবকরা। বাড়িতে ফিরলেও মারের অপমান ভুলতে পারেননি ওই যুবক। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। এরপর রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে চূর্ণী নদীতে ঝাঁপ দেন বিপুল। আনুলিয়া ঘাটে ঝাঁপ দিলেও গোট রাতে ভাসতে ভাসতে নন্দীঘাটের কাছে চলে যান। ভোরবেলা স্থানীয়রা নন্দীঘাটের কাছে এক যুবককে ভাসতে দেখে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেন। সামান্য সুস্থ বোধ করলে তাঁকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এই মুহূর্তে রানাঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই যুবক। ভাই বিশ্বজিৎ বর্মণ জানিয়েছেন, মারধরের জন্য রাগে অভিমানে দাদা আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। সাঁতার জানার কারণেই হয়তো বেঁচে গিয়েছে। মারধরের ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। যদিও এখনও কেউই গ্রেপ্তার হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.