Advertisement
Advertisement

Breaking News

ময়ূর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট, বন্যপ্রাণ আইন লঙ্ঘন করে গ্রেপ্তার যুবক

১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে তাকে।

Youth arrested for posting picture on social media holding peacock | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 17, 2022 9:42 pm
  • Updated:November 17, 2022 9:44 pm  

রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: ময়ূর ধরে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ায় শ্রীঘরে এক যুবক। বৃহস্পতিবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) জঙ্গলে এই ঘটনা ঘটেছে। ময়ূরের গলা টিপে ধরে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন শিবু বর্মন নামে এক যুবক। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কতৃপক্ষ বৃহস্পতিবার ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এই ছবি।

জানা গিয়েছে শিবু বর্মন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল লাগোয়া দমনপুর এলাকায় থাকেন। পেশায় গাড়ির চালক। একটি বিশালাকার ময়ূরের (Peacock) গলা টিপে ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি দেন ওই যুবক। বুধবার রাতেই সোশ্যাল মিডিয়াতে (Social Media) ওই ছবি নজরে আসে বন দপ্তরের। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিনই তাকে আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হলে বিচারক ওই যুবককে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মেঘালয়ে আরও বিস্তার তৃণমূলের, গারো হিলস নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন অভিষেকের]

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম বিভাগের এডিএফও পল্লব মুখোপাধ্যায় বলেন, “ময়ূর ভারতের জাতীয় পাখি। শিডিউল ওয়ান প্রজাতির বন্যপ্রণ ময়ূর। তাকে কোনওভাবে বিরক্ত করা, উত্যক্ত করা বা ধরা বন সংরক্ষণ আইনে বড় অপরাধ। এই ঘটনা বন্যপ্রাণ শিকারের শামিল। আমরা ওই ময়ূরের হদিশ পাইনি। দেখে মনে হচ্ছে, ওটি একটি অসুস্থ বা মৃত ময়ূর ছিল। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

[আরও পড়ুন: দিল্লি হত্যাকাণ্ডে আফতাব নয়, ‘দোষী’ শ্রদ্ধাই! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবিতে তুঙ্গে বিতর্ক]

বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের দমনপুর রেঞ্জের অধিন এলাকায় এই ময়ূর ধরে ছবি দিয়েছে ওই যুবক। অন্য একজনকে দিয়ে এই ছবি তুলিয়ে নিজেই ফেসবুকে (Facebook) শেয়ার করেন ওই যুবক। যদিও যুবকের স্ত্রী সুলেখা বর্মনের দাবি, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ময়ূর এসে পড়ায় তাকে ধরে সরিয়ে দেওয়ার সময় ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন শিবু। ময়ূরের কোন রকম ক্ষতি করতে চান নি ওই যুবক। ধৃত যুবকের আইনজীবী তুষার চক্রবর্তী বলেন, “ ধৃত যুবকের কাছ থেকে ময়ূর উদ্ধার হয়নি। ফলে এই ঘটনাকে বনদপ্তর কীভাবে শিকারের ঘটনা বলছে বুঝতে পারছি না। ”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement