প্রতীকী ছবি
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: মোবাইলে আলাপ, পরিচয়। সেখান থেকে গভীর প্রেম। বিয়ের কথাবার্তা এগোতেই আচমকা জানা যায়, প্রেমিকা সম্প্রতি অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। সেই ধাক্কা সামলাতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন যুবক। নদিয়ার হাঁসখালির ঘটনায় এমনই দাবি পরিবারের। বৃহস্পতিবার রাতে এনিয়ে শোরগোল শুরু হয় এলাকায়। ছেলেকে এভাবে হারিয়ে কার্যত দিশাহারা অবস্থা মায়ের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম প্রবীর বিশ্বাস ওরফে পাপাই। বাবা পরিতোষ বিশ্বাস হাঁসখালির মামজোয়ান পঞ্চায়েতের হলদিপাড়া মাঠপাড়ার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে সেন্টারিংয়ের কাজ করেন। পরিবারের আর্থিক টানাটানি স্ত্রী বীণা বিশ্বাসও কাজকর্ম করে সংসার চালান। এর মধ্যে বড়ো ছেলে প্রবীর বাইরে গিয়ে কাজ করতে শুরু করে। কাজের মাঝে মোবাইলে এক মেয়ের সঙ্গে আলাপ, পরিচয়। ক্রমে সেই আলাপ গভীর প্রেমে পরিণত হয়।
সম্পর্কের কথা পরিবার জানতে পেরে পাপাইয়ের বাড়িতে বিয়ের প্রসঙ্গ নিয়ে কথাবার্তা চলে। এর মধ্যেই জানা যায়, পাপাইয়ের প্রেমিকা অন্যজনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সেই খবর শোনামাত্রই শুরু হয় মনের মধ্যে উথালপাতাল শুরু হয়। শেষমেশ নিজেকেই শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে বলে পরিবারের দাবি। তাঁদের দাবি, মনের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তাড়াতাড়ি পাপাইকে স্থানীয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক যুবককে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই মৃত্যু হয় যুবকের। এই খবর বাড়িতে পৌঁছতেই তাঁর শোকার্ত মা আকূল হয়ে ওঠেন। খবর পেয়ে হাঁসখালি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। প্রেমিকার পরিবারের খোঁজ শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.