নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: খুনি অপবাদে এক যুবককে বাঁশ, লাঠি, রড দিয়ে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসীরা। বাড়ি থেকে টেনে বের করে গণপিটুনি দেওয়া হয় তাঁকে। গ্রামবাসীদের লাগামহীন জনরোষের বলি বছর আঠাশের ওই যুবকের নাম তুফান গোলদার। শুক্রবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার উনাই গ্রামে এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে। আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে রাতভর গ্রামবাসীরা যেভাবে তাণ্ডবলীলা চালাল, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতার থেকে কোনও অংশে কম নয়। এলাকার একটি ডোবা থেকে হারান মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় বৃহস্পতিবার। তুফানই হারানকে খুন করেছে এই অভিযোগে শুক্রবার রাতে তাকে গণপিটুনি দেয় গ্রামবাসীরা।
[তরুণীকে নিয়ে চলন্ত গাড়িতে মদ্যপদের মোচ্ছব, রাতের শহরে দুর্ঘটনা]
কোনও তথ্য নেই, প্রমাণ নেই। শুধুমাত্র আশঙ্কার বশে ওই যুবকের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে পিটিয়ে খুন করে গ্রামবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর বৃহস্পতিবার সকালে এলাকারই একটি ডোবা থেকে উদ্ধার হয় হারান মণ্ডলের (৪২) পচাগলা দেহ। হারানের পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁকে। তাঁদের আরও দাবি, কয়েকদিন আগে তুফানের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল হারানের। পরিবারের আশঙ্কা সেই ঝগড়ার কারণেই, তুফান হারানকে খুন করেছে। একথা গ্রামে ছড়িয়ে পড়তেই শুক্রবার রাতে তুফানের বাড়িতে চড়াও হয় গ্রামবাসীরা।
[বিকট শব্দে কেঁপে উঠল দিঘা, আতঙ্কে পর্যটকরা]
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে চলে যান তুফানের মা। তারপর থেকে তিনি একাই থাকতেন। তুফানকে বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে বেধড়ক মারধর শুরু করে গ্রামবাসীরা। রাস্তার উপর ফেলে পেটানো হয় তাঁকে। গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের। বনগাঁ থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে তুফানের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সূত্রের খবর, গণপিটুনির ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও সরকারিভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি। শনিবার সকালেও এলাকায় থমথমে পরিবেশ। ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
[টানলেই বড় হচ্ছে! প্লাস্টিকের বাঁধাকপি নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.