Advertisement
Advertisement

Breaking News

Birbhum

বন্দুক নিয়ে খেলা দেখাতে গিয়ে চরম বিপর্যয়, বন্ধুর হাতে ‘খুন’ বন্ধু!

বন্ধুর মৃতদেহ দেখে অভিযুক্তরা নিজেরাই থানায় ফোন করে জানায়, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।

Youth accidentally killed friend while checking gun in Birbhum
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 28, 2024 12:55 pm
  • Updated:March 28, 2024 4:43 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: মদের নেশায় স্রেফ কৌতুহল মেটাতে বন্দুক নিয়ে খেলা দেখাতে গিয়ে চরম বিপদ। বন্ধুর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বন্ধুরই মৃত্যু (Shot Dead)হল বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) কাঁকরতলা থানার পারসুন্ডি পঞ্চায়েতের আরং গ্রামে। বুকে গুলি লেগে মৃত্যু হল পথিক পাবন মণ্ডল নামে একুশ বছরের যুবকের। বুধবার রাতে এমন আকস্মিক, মর্মান্তিক ঘটনার পর বন্ধুরা পুলিশে খবর দেয়। গভীর রাতেই কাঁকরতলা থানার পুলিশ দুই বন্ধু প্রসেনজিৎ বাউড়ি ও ভোলানাথ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি (Suri) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার আরং গ্রামে দিনরাত হরিনামের আসর চলছিল। এই আসরের একশো মিটার দূরে প্রসেনজিতের বাড়ির ছাদে বসে তিন বন্ধু মিলে মদ্যপান করছিল। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রসেনজিৎই মদ এনে তার দুই বন্ধু পথিক ও ভোলানাথকে ডেকে নেয়। নেশা করতে করতে এক বন্ধু তার কাছে লুকিয়ে রাখা একটি 9MM বন্দুক বের করে বন্ধুদের দেখায়। কৌতুহলী হয়ে বাকি দুই বন্ধু বন্দুকটি নিয়ে দেখতে যায়। সেসময় অসাবধানতা বশত একজন বন্দুকের (Gun) ঘোড়া টিপে দিলে অপর প্রান্তে থাকা পথিকের বুকে গিয়ে লাগে। ঘটনাস্থলেই পথিকের মৃত্যু হয়। তাঁকে এভাবে দেখে হতভম্ব হয়ে যায় বাকি দুই বন্ধু। তাঁরাই কাঁকরতলা থানার পুলিশকে ফোন করে সবটা জানান। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। দুই বন্ধু প্রসেনজিৎ ও ভোলানাথকে গ্রেপ্তার করে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নোটের বিছানায় শুয়ে সুখনিদ্রা! অসমে বিজেপির শরিক দলের নেতার ছবি ভাইরাল]

যদিও এই হত্যাকাণ্ড (Killing) ঘটে যাওয়ার পরও গ্রামে স্বাভাবিকভাবে হরিনামের আসর চলেছে। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, এটা বন্ধুদের ব্যক্তিগত বিষয়। এর সঙ্গে হরিনামের কোনও সম্পর্ক নেই। বৃহস্পতিবার যথারীতি কুঞ্জভঙ্গ ও পরেরদিন রাস উৎসব পালিত হবে। এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই। বচসা থেকে বা অন্য কোনও কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে।” তবে প্রশ্ন উঠেছে, লোকসভা ভোটের মুখে কীভাবে গ্রামের সাধারণ যুবকদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এল?

দেখুন ভিডিও: 

[আরও পড়ুন: ‘স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী’র চাপে বিচার বিভাগ! প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেশের ৬০০ আইনজীবীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement