শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: রান্নাঘরের চালে আটকে পড়েছিল বিশাল বড় একটা গোসাপ। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ঘুমটি এলাকার এক বাড়িতে রান্না করতে ঢুকে এই দৃশ্য দেখে তো গৃহকর্ত্রী আতঙ্কে দৌড়ে পালালেন। সারাদিনের মতো বন্ধ রান্নাবান্না। এদিকে, রান্নাঘরের টিনের চাল আর সিলিংয়ের মধ্যে আটকে গোসাপের হাঁসফাঁস দশা। প্রাণ যায় যায় দশা। শেষমেশ তাকে উদ্ধার করলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। গৃহস্থ বাড়িতেও কাটল আতঙ্ক।
ঘটনা জলপাইগুড়ির চার নম্বর ঘুমটি পুরাতন মসজিদ সংলগ্ন এলাকার। এখানকারই বাসিন্দা বাবলু চক্রবর্তী। তাঁর বাড়ির রান্নাঘরের সিলিংয়ে আটকে দীর্ঘক্ষণ ধরে আটকে পড়েছিল একটি গোসাপ (Yellow Monitor Lizard)। তা দেখে বাবলুবাবুর স্ত্রীর অবস্থাও সঙ্গীন। রান্নাঘরের (Kitchen) চালে এত বড় প্রাণীটি দেখে আতঙ্কে তিনি আর ধারেকাছে যেতে পারছিলেন না। দিনভর বন্ধ রান্নাবান্না। এত বড় প্রাণীকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়াও সম্ভব নয়। ফলে চক্রবর্তী পরিবার এনিয়ে সারাদিনই ভেবে ভেবে অস্থির।
এদিকে, রান্নাঘরের গরমে গোসাপটিরও হাঁসফাঁস অবস্থা। না নিজে বেরতে পারছে, না কেউ তাকে উদ্ধার করছে। অনেকক্ষণ ধরে ওভাবে থাকতে থাকতে অসুস্থ (Sick) হয়ে ক্রমশ নেতিয়ে পড়ে গোসাপটি। বিপদ বুঝে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে খবর দেন গৃহকর্তা বাবলু চক্রবর্তী। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সভাপতি বিনোদ আগরওয়াল ও সম্পাদক অঙ্কুর দাস। যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়ে রান্নাঘরের চালের ফাঁকে আটকে থাকা প্রাণীটিকে উদ্ধার করেন। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সুস্থ করার পর তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান উদ্ধারকারীরা।
গ্রিন জলপাইগুড়ি নামের ওই সংগঠনের সম্পাদক তথা পরিবেশপ্রেমী অঙ্কুর দাস বলেন, ”ঝুঁকি নিতে হলেও গোসাপটিকে বাঁচাতে পেরেছি, এটাই ভাল লাগছে। আরও কিছুক্ষণ রান্নাঘরের চালে এভাবে থাকলে, গোসাপটির মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ওকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.