সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের প্রশ্ন-বিভ্রাট বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ পরীক্ষা হলে গিয়ে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার পডুয়ারা৷ যে বিষয়ের পরীক্ষা তার প্রশ্নপত্র না দিয়ে অন্য বিষয়ের প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে হতাশ তাঁরা। পরে অবশ্য প্রশ্নপত্র বদল করে দেওয়া হয়৷ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে ছাত্র সংগঠনগুলি৷ ঘটনার পিছনে গভীর চক্রান্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ৷ দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে তৃণমূলও৷
[চিকিৎসায় গাফিলতিতে প্রসূতির মৃত্যু, ব্যাপক ভাঙচুর নার্সিংহোমে]
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্নাতক সাধারণ ও অনার্সের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা ছিল৷ অনার্সের পড়ুয়াদের ছিল পঞ্চম পত্রের পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের ষষ্ঠ পত্রের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়।ষষ্ঠপত্রের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ১৯ এপ্রিল৷ প্রশ্ন বিভ্রাটে বিড়ম্বনায় পড়ে যান পরীক্ষার্থীরা। প্রায় মিনিট দশেক কেটে যাওয়ার পর পরীক্ষার্থীরা বিষয়টি পরীক্ষা কেন্দ্রের আধিকারিকদের নজরে আনেন৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়৷ জেলার বিভিন্ন কলেজ থেকেই একই অভিযোগ আসতে শুরু করে৷ কিন্তু, তাতেই সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান হয়নি৷ অভিযোগ, কোথাও ই-মেলে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে তা জেরক্স করে পরীক্ষার্থীদের দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ভুল প্যাকেট চলে যাওয়ায় কিছু কেন্দ্রে সমস্যা হয়েছিল। তা দ্রুত মেটানো হয়েছে।
[ইন্ডাকশন ওভেনে শটসার্কিট, পুড়ে মৃত্যু শিশুকন্যা-সহ ২ গৃহবধূর]
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভানেত্রী জুলফা খাতুন বলেন, “ঘটনার পিছনে গভীর চক্রান্ত রয়েছে বলেই আমাদের মনে হচ্ছে। আমরা উপাচার্যকে জানিয়েছি ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে।” এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরি বলেন, “পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এটা বন্ধ হওয়া প্রযোজন। আগামী ১৯ এপ্রিলের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পড়ুয়াদের হাতে দেওয়া হয়৷ আমরা ওই পরীক্ষা বাতিলের দাবি করেছি৷ প্রশ্ন বিভ্রাটে পরীক্ষার্থীদের অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছে । তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে৷’’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আশঙ্কা , পঞ্চায়েত ভোটের আগে সরকারকে বদনাম করতে চক্রান্ত করে এই বিভ্রাট ঘটানো হয়ে থাকতে পারে৷ জুলফা খাতুন জানান, এক শ্রেণির কর্মী আধিকারিক চক্রান্ত করে এটা ঘটিয়েছেন বলে তাঁরা মনে করছেন। তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। পরীক্ষা নিয়ামক অনিন্দ্যজ্যোতি পালের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়৷ কিন্তু যোগাযোগ করা যায়নি৷ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ৷এর আগেও প্রশ্ন বিভ্রাটের জেরে নাকাল হতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের৷
[ঝাড়গ্রামে হাতির হামলায় মৃত দুই, ছড়াল আতঙ্ক ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.