শুভ্রদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি: ট্রেনের শৌচাগার থেকে উদ্ধার নিষিদ্ধ বিদেশি পণ্য। নিষিদ্ধ পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিদেশি সিগারেট, কসমেটিক্স, বাম ও ড্রাইফ্রুটস। অসমের তিনসুকিয়া থেকে যাবতীয় সামগ্রী ট্রেনে করে বেঙ্গালুরুতে পাচার হচ্ছিল বলে খবর। তবে শেষরক্ষা হল না, সুপার ফাস্ট এক্সেপ্রেসে চেপে বেঙ্গালুরুতে যাচ্ছে নিষিদ্ধ পণ্য সামগ্রী। এমন খবর গোপনসূত্রে এসে পৌঁছায় আরপিএফের কাছে। ততক্ষণে অসমের তিনসুকিয়া থেকে ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। শেষপর্যন্ত এনজেপি স্টেশনে ট্রেন পৌঁছালে আরপিএফের একটি দল এস-১০ কামরার শৌচাগার থেকে নিষিদ্ধ পণ্য সামগ্রীগুলি উদ্ধার করে। যদিও এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পাচকারীরা বুঝেই গিয়েছিল পুলিশ পিছু নিয়েছে। তাই এনজেপিতে ট্রেন থামার আগেই তারা অন্য কামরায় পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় কামরার শৌচাগারে ফেলে যায় দ্রব্য সামগ্রী।
নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন আরপিএফ শাখার আইসি বিপ্লব মজুমদার বলেন, উদ্ধার হওয়া পণ্য সামগ্রীর বাজারমূল্য চার লক্ষ টাকা। উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিদেশি সিগারেট, কসমেটিকস, ড্রাই ফ্রুটস ও বাম। এগুলি মণিপুর থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বেঙ্গালুরুতে পাচার হচ্ছিল। এহেন নিষিদ্ধ সামগ্রীর লাভজনক বাজার রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। তাই অসম থেকে ট্রেনে করে নিষিদ্ধ পণ্য সামগ্রীগুলিকে বেঙ্গালুরুতে পাচার করা হচ্ছিল। পাচারের খবর পুলিশ পেয়েছে জানতে পেরেই পিটটান দেয় অভিযুক্তেরা। ট্রেনের শৌচাগার থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ পণ্য সামগ্রীগুলি শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই পাচারের সঙ্গে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ পণ্যের মধ্যে দুটি সংস্থার ৯৮ প্যাকেট কোরিয়ান সিগারেট রয়েছে। একটি সংস্থার ৫০ প্যাকেট ও অন্য সংস্থাটির ৪৮ প্যাকেট। এর বাজার মূল্য তিন লক্ষ টাকা। উদ্ধার হওয়া ৪২টি কসমেটিক্সের বাজারমূল্য পাঁচ হাজার টাকা। এগুলি মায়ানমার থেকে আনা হয়েছে। এছাড়াও বিদেশি বাম, ড্রাইফ্রুটস ও প্যাকেটজাত তেঁতুল উদ্ধার হয়েছে। এসব বিদেশী পণ্য মণিপুর সীমান্ত দিয়েই এদেশে ঢোকে। সেখান থেকে একটি কার্টন, ও তিনটি ব্যাগে ভরে সোজা বেঙ্গালুরুতে যাচ্ছিল নিষিদ্ধ পণ্য সামগ্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.