তন্ময় মুখোপাধ্যায়: কে কত বড়? অর্থাৎ, উচ্চতাই এখন যেন পুজোর শেষ কথা। দেশপ্রিয় পার্ক থেকে হুজুগটা আরও সংক্রামিত হয়েছে। গুয়াহাটিতে ১০১ ফুটের দুর্গা কলকাতাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। নৈহাটিতে কালী প্রতিমা তৈরি হয় হাত মেপে। কালী, দুর্গা নিয়ে উচ্চতার এই দৌড়ে এবার ঢুকে পড়ল সত্যনারায়ণ। শান্তিপুরের রাস উৎসবের বাড়তি আকর্ষণ এবার ৫৫ ফুটের এই প্রতিমা। আয়োজক স্থানীয় লিডার্স ক্লাব। যারা তরফদার পাড়া বারোয়ারি নামেও পরিচিত।
[শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা কীভাবে সর্বজনের হল? উৎসবের মাহাত্ম্য কী?]
ওই সংগঠনের দাবি তাদের নারায়ণ মূর্তি বিশ্বের সবথেকে বড়। এমন ঝোঁক কেন মাথায় চাপল? এই প্রশ্নের জবাবে ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শুভদীপ মুখোপাধ্যায় একটু পিছনের দিকে হাঁটছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বরাবরই নিত্য-নতুন ভাবনায় দর্শনার্থীদের চমকে দেয় লিডার্স ক্লাব। শিশু শ্রমিক বা পিরামিড নিয়ে তাদের কীর্তি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।এখন অন্যরা যেহেতু দুর্গা বা কালী নিয়ে মেতে রয়েছে তাই সত্যনারায়ণে নজর দেওয়া হয়।’’ দুর্গাপুজোর পর থেকে মূর্তি গড়া শুরু করেন স্থানীয় শিল্পী সুজিত দেওরি। মাত্র একমাসের মধ্যেই তৈরি ৫৫ ফুটের এই ফাইবারের প্রতিমা। ৪৩ বছরের পুজোয় এই বিশালকার মূর্তির টানে প্রচুর দর্শনার্থী এসেছেন। কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, ফুলিয়া, হবিবপুর এমনকী ভাগীরথীর ওপার কালনা থেকেও বহু মানুষ সত্যনারায়ণ দর্শন করে যাচ্ছেন। এই আয়োজনের জন্য পুজায় খরচ হচ্ছে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। মূর্তির পাশাপশি এই পুজোর আরও একটি আকর্ষণ আলোকসজ্জা। যা এসেছে চন্দনগর থেকে। এর সঙ্গে মানানসই হিসাবে রয়েছে বাজনা। বাঁকুড়া থেকে আসা ব্যান্ড পার্টির তালে শরৎ কুমারী গার্লস স্কুল লাগোয়া এলাকার পরিবেশ বদলে গিয়েছে।
[মণ্ডপ থেকে প্রতিমা, রাসযাত্রায় থিমেও জোর লড়াই]
সোমবার রাসযাত্রা শেষ। তারপর আরও দুদিন দর্শনার্থীরা এই বিশালাকার মূর্তি দেখার সুযোগ পাবেন। এত বড় প্রতিমা সংরক্ষণের জন্য ইতিমধ্যে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন ক্লাবকর্তারা। শুভদীপবাবু বলছেন এই নিয়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় কথাবার্তা বলেছেন। সবথেকে বড় সত্যনারায়ণ কোথায় জায়গা পাবে তা নিয়ে অবশ্য উৎসাহীদের তেমন মাথাব্যথা নেই। সময় থাকতে থাকতে তারা ৫৫ ফুটের দেবদর্শন সেরে নিতে চাইছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.