নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ভোটপ্রচারে বেড়িয়ে উন্নয়নের ফিরিস্তি দিতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল সাংসদ শতাব্দী রায়কে। বৃহস্পতিবার রামপুরহাট বিধানসভার মহম্মদবাজারের ডামরা এলাকায় প্রচারে যান এবারের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। গণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’নম্বর সংসদের ডামরা নিচু পাড়ায় পৌঁছান সন্ধ্যা নাগাদ। সেখানে সাংসদ তহবিল থেকে মোট কত টাকায় এলাকায় কী কী খরচ করে এলাকা উন্নয়ন করেছেন তার ফিরিস্তি দেন সাংসদ। তাতেই খেপে ওঠে স্থানীয় জনতা।
তাঁদের দাবি, এলাকায় পানীয় জলের চরম অসুবিধা। জলের কল নেই। সরকারি প্রকল্পের বাড়ি পাওয়া যায় না। তার কী বিহিত হবে? সাংসদের সঙ্গে তারই হুডখোলা প্রচার গাড়িতে ছিলেন এলাকার নেতা তথা ব্লকের কার্যকরী সভাপতি কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি জানান, ‘এলাকার কল ভাঙার জন্য পঞ্চায়েতে আবেদন করতে হবে। তাছাড়া এলাকাতে জলস্তর নেমে যায় বলে নলবাহিত জলের জন্য আমরা এলাকার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই এলাকা নিয়ে আলাদা বৈঠক করেছি। সে নিয়ে পরিকল্পনা হয়েছে। ভোটের পরেই তা কার্যকর করা হবে।’
[আরও পড়ুন: প্রচারের মাঠে ফুটবলে কিক দিয়ে খুদেদের মন জয় মিমির, দেখুন ভিডিও]
উল্লেখ্য, গণপুর অঞ্চলে নির্বাচন হওয়ায় এবার তৃণমূলের হাত থেকে গোটা পঞ্চায়েতটি ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। কিন্তু ডামরা নিচু পাড়ায় দু নম্বর সংসদটিতেই কেবলমাত্র জয়ী হয় তৃণমূল। সেখানেই বিক্ষোভের মুখে পড়ে কিছুটা হতবাক তৃণমুল নেতৃত্ব। অন্যদিকে, একইভাবে ভাড়কাটা এলাকায় ভোটপ্রচারে গেলে ট্রাক মালিক সমেত গ্রামবাসীরা সাংসদের কাছে তাঁদের অভিযোগ জানান। তাঁরা দাবি করেন, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা পান না। এলাকায় রাস্তাজুড়ে চলে তোলাবাজি। সে নিয়ে বারেবারে বলেও প্রশাসনের টনক নড়ে না। রাস্তার কোনও উন্নয়ন হয়নি। যদিও সাংসদ শতাব্দী রায় তাদের বিষয়গুলি দেখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি এদিন দীঘল গ্রামে প্রচারে গেলে হিরণ শেখ, মিলন শেখের নেতৃত্বে কংগ্রেসের স্থানীয় নেতারা সাংসদের হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
[আরও পড়ুন: ‘শলাকা’ দেখিয়ে ভোট করানোর নিদান, আবারও বিতর্কে অনুব্রত মণ্ডল]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.