ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: কর্মীদের বিক্ষোভে রবিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী চত্বর। একাধিক দাবি জানিয়ে এদিন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও ফিনান্স অফিসারকে আটকে বিক্ষোভ দেখালেন কর্মীরা। প্রায় দু’ঘণ্টা চলে বিক্ষোভ। পরে কর্মীদের দাবি ও অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে ওঠে অবরোধ। কিন্তু আদৌ তাঁদের দাবি পূরণ হবে কি না, সেই দিকেই তাকিয়ে কর্মীরা।
কর্মীদের অভিযোগ, ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকার সপ্তম পে-কমিশন চালু করলেও ২০১৯ সালেও সম্পূর্ণ টাকা পাননি কর্মীরা। এমনকী বিশ্বভারতীর মান উন্নয়নের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটি থেকেও বিশ্বভারতীর কর্মিসভার সদস্যদের বাদ দেওয়া হয়েছে। উপাচার্যের বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা। অভিযোগ, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কর্মীদের সকাল ৯.৩০টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি নিজে বেলা করে অফিসে যান। অভিযোগ, বিশ্বভারতীর আর্থিক সমস্যার কথা জেনেও সম্প্রতি উপাচার্য মোটা টাকা খরচ করে তার সরকারি বাসস্থান সংস্কার করেছেন। প্রায় লক্ষ টাকা খরচ করে টিভিও কিনেছেন বলে অভিযোগ।
নিজেদের প্রাপ্য টাকার দাবির পাশাপাশি উপাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানিয়ে রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ফিনান্স অফিসারকে ঘেরাও করেন কর্মীরা। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে অস্থায়ী কর্মসচিব সৌগত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ইউজিসি থেকে আমরা প্রায় ১০ কোটি পাব কিন্তু সেটা এখনও পাইনি। তাই এরিয়ার হিসেবে জন্য যে টাকা এসেছিল তা কর্মীদের মাইনে দিতে খরচ হয়ে গিয়েছে। এ মাসেও অন্য ফান্ড থেকে কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়েছে।’ কর্মিসভার সভাপতি গগন সরকার বলেন, ‘পে-কমিশনের সম্পূর্ন টাকা আমরা তিন বছর পরেও পাইনি, কবে পাব জানি না। উপাচার্য নিজে সময় মত অফিসে না এসে কর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন সময়ে অফিসে আসার, এটা চলতে পারে না।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.