মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: শেষ দু’দিনে হাওড়া শহরে অস্বাভাবিক মৃত্যুর হয়েছিল তিনজনের। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের মর্গে। দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় লাশ বাহকরা পরেছিলেন পিপিই (PPE)। এতেই হাসপাতাল কর্মীদের মনে বদ্ধমূল ধারমা জন্মায় যে, মৃতেরা করোনা আক্রান্ত ছিলেন। স্রেফ এই সন্দেহের কারণেই শুক্রবার কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
জানা গিয়েছে, ওই মৃতদের কেউই করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। একজন ছিলেন ভবঘুরে ও বাকি দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। যেহেতু হাওড়া জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হচ্ছে না। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সকালে ওই দেহগুলি উলুবেড়িয়ায় আনা হয়েছিল ময়নাতদন্তের জন্য। দেহ বহনকারীরা প্রত্যেকেই সুরক্ষার জন্য পরে ছিলেন পিপিই। বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম দেহটি হাসপাতালে আনতেই চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ক্ষোভে ফুঁসেছিলেন কর্মীরা। শুক্রবার তাতেই ঘৃতাহুতি হয় বাকি দেহ হাসপাতালে পৌঁছলে। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস। তিনি বলেন, যে তিনজনের লাশ আনা হয়েছিল তাঁরা কেউই করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। তাঁদের মৃত্যু হয়েছিল অস্বাভাবিকভাবে। যেহেতু হাওড়া শহর “রেড প্লাস জোন” তাই সেখানের মর্গে ময়নাতদন্ত হচ্ছে না। সেই কারণেই দেহ উলুবেড়িয়া হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। তাছাড়া লাশ বহনকারীরা সতর্কতার জন্য পিপিই পরেছিলেন।”
এই কথা শোনার পর শান্ত হন বিক্ষোভকারীরা। নিয়্ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। এদিকে শুক্রবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে “সিল” করে দেওয়া হয়েছে উলুবেড়িয়া স্টেশন রোড। লাগাতার মাইকিং করা হচ্ছে পুলিশের তরফে। পাশাপাশি বন্ধ করতে বলা হয়েছে ওই এলাকার বিভিন্ন দোকান ও বাজার। স্টেশন রোডের ওষুধের দোকানগুলিও স্যানিটাইজ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.