সৌরভ মাজি, বর্ধমান: রাতে আঁধারে থাকে সেতু। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে এসে এলাকাবাসীর কাছে এমনই অভিযোগ পেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তা শুধু মুখের কথা ছিল না। কাজেও করে দেখালেন অভিষেক।
তৃণমূল সাংসদের নির্দেশে প্রশাসনের তরফে জামালপুরের হরেকৃষ্ণ কোঙার সেতুতে আলোর ব্যবস্থার কাজ শুরু করা হয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী প্রশাসন। তার আগেই অবশ্য অস্থায়ীভাবে কিছু আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবশেষে সেতুর আঁধার ঘুচতে চলেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে।
গত মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে এসেছিলেন অভিষেক। জামালপুরে এই কর্মসূচিতে RSS কর্মী অভিষেকের কাছে ওই সেতুতে দীর্ঘদিন রাতে আলো জ্বলে না অভিযোগ করেন। রাতে সেতুতে যাতায়াতে অন্ধকারে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এমনকি অসামাজিক কার্যকলাপ হওয়ার আশঙ্কা করেন। অভিষেক মনোযোগ দিয়ে সমস্যার কথা শোনেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। পরে সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানিয়ে সেতুতে আলোর ব্যবস্থা করেন। জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভূতনাথ মালিক জানান, ওই সেতুতে আলোর ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকারের তরফে ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন, “এই কাজ শেষ হতে আরও কয়েকটা দিন সময় লাগবে। তার আগেই অবশ্য আমাদের সাংসদের নির্দেশে অস্থায়ীভাবে কিছু আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।” জামালপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেহমুদ খান বলেন, “অনেক সময় বিভিন্ন কারণে কোনও কোনও কাজ থমকে থাকে। আমাদের সাংসদের কাছে বাসিন্দারা সেতুতে আলোর ব্যবস্থা করা আর্জি জানিয়েছিলেন। তার পরই অর্থ বরাদ্দ করে কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ হয়ে যাবে।” জামালপুরের সঙ্গে রায়না-সহ বিভিন্ন এলাকার সংযোগ স্থাপনে এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ। যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি প্রচুর সংখ্যায় পণ্যবাহী যানবাহনও চলাচল করে। সেতুতে দীর্ঘদিন ধরে আলোকস্তম্ভের বাতিগুলি খারাপ হয়ে পড়েছিল। আলোকস্তম্ভগুলিও খারাপ হয়েছিল। রাতে আলো না জ্বলার ফলে সমস্যায় পড়ছিলেন যাতায়াতকারীরা। অবশেষে সেখানে নতুন করে আলোকমালায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। খুশি এলাকার বাসিন্দারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.