সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি যোগের যাবতীয় জল্পনায় আপাতত ইতি টানলেন দীপা দাশমুন্সি। জানিয়ে দিলেন কোনওভাবেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না তিনি। উলটে মুকুল রায় কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। গত দু’দিন ধরেই রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদের গেরুয়া যোগ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তিনি দল ছাড়ছেন বলেই জানিয়েছেন প্রিয়রঞ্জন-জায়া। উলটে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তিনি বলেছেন, এ ধরনের গুজব রটিয়ে বিরোধী শিবিরে সন্দেহের পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির।
জল্পনা শুরু হয়েছিল গত সোমবার। সূত্রের খবর, সেদিন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননের ১৪৭ নম্বর নর্থ অ্যাভিনিউয়ের বাসভবনে গিয়েছিলেন দীপা দাশমুন্সি৷ সেখানেই মেনন-সহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেস নেত্রী। তাছাড়া বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে ফোনেও কথা হয় দীপার। এরপরই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয় প্রিয়রঞ্জন জায়ার গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া নিয়ে। দীপা দাশমুন্সি বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের ব্যপারে বিশেষ কিছু না বললেও মুকুল রায়ের সঙ্গে ফোনালাপের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন,”হ্যাঁ, গত শনিবার মুকুল রায় আমাকে ফোন করেছিলেন। লাইন খুব খারাপ ছিল। বেশিক্ষণ কথা হয়নি। তবে, আমি যা শুনতে পেলাম, তাতে আমার বিজেপি যোগদানের থেকে তাঁর কংগ্রেসে যোগদানের ইচ্ছে বেশি ছিল বলে মনে হল।” এরপরই দীপা সাফ জানিয়ে দেন তিনি দল ছাড়ছেন না। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আমি কংগ্রেসের সৈনিক, কোনওভাবেই বিজেপিতে যাচ্ছি না।” দীপা ঘনিষ্ঠ কংগ্রেসের এক নেতাও বলেন, “দীপাদির বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। উনি কংগ্রেস পরিবারের সদস্য।”
আসলে, বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতার ফেরে রায়গঞ্জ আসনটি হাতছাড়া হতে চলেছে দীপার। ওই কেন্দ্র থেকে ২০০৯ সালে সাংসদ হন তিনি। ২০১৪ সালে অল্পের জন্য মহম্মদ সেলিমের কাছে হেরে যান প্রিয়রঞ্জন-জায়া। তবে, এবারে ওই আসনটিতে জয়ের ব্যপারে আশাবাদী ছিলেন তিনি। কিন্তু বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতার জেরে আসনটি সেলিমকেই ছাড়তে হচ্ছে। তাতেই, পার্টি হাই কম্যান্ডের উপর অসন্তুষ্ট দীপা দাশমুন্সি। যদিও প্রাক্তন সাংসদ জানিয়েছেন, এখনও হাই কম্যান্ডের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.