ধীমান রায়, কাটোয়া: সরকারি প্রকল্পে গৃহনির্মাণের অনুদানের নামে উপভোক্তাদের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগের আসছিল দীর্ঘদিন ধরেই৷ অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করেই চলছিল বেআইনি কাজ৷ তিনি বারবার নির্দেশে দিয়েছেন যে, কোনও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ বাস্তবায়িত করতে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিল গুসকরা পুরসভা৷ ‘হাউজিং ফর অল’ প্রকল্পে গরিব মানুষদের অনুদান থেকে কোনও কাটমানি নিতে পারবেন না কোনও কাউন্সিলর৷ এই মর্মেই মুচলেকা আদায় করা হল পুরসভায় সমস্ত কাউন্সিলরদের কাছ থেকে।
[ভস্মীভূত বাগরি মার্কেট, পুজোর মুখে সংকটে কাটোয়ার ব্যবসায়ীরা]
পুরসভা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেলে গুসকরা পুরসভায় জরুরি মিটিং ডাকা হয়। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল সরকারি গৃহনির্মাণ প্রকল্প। বৈঠকে উপস্থিত কাউন্সিলরদের সবার হাতে একটি করে ফাঁকা অঙ্গীকারপত্র ধরিয়ে দেওয়া হয়। তা পূরণ করে স্বাক্ষর করে দেন সমস্ত কাউন্সিলররা। তাতে উল্লেখ রয়েছে, ”কাউন্সিলর হিসাবে অঙ্গীকার করছি যে ‘হাউজিং ফর অল’ প্রকল্পে গরিব মানুষদের জন্য ওয়ার্ডে যে গৃহ নির্মাণ হইবে সেই কাজে কোনও গরিব মানুষের কাছে কোনওরূপ অর্থ দাবি করিব না। যদি কোনওভাবে চুক্তিভঙ্গের সমাচার পৌঁছায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে কাজ বন্ধ করিয়া দেবে৷” এই বিষয়ে গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান বুর্ধেন্দু রায় বলেন, পুরসভায় হাউজিং ফর অল প্রকল্পের টাকাকে ব্যবহার করে তাড়াতাড়ি কাজ শেষ ইচ্ছুক তারা৷ স্বচ্ছতার জন্যই মুচলেকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
[পণের অত্যাচারে অতিষ্ঠ, সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ গৃহবধূর]
জানা গিয়েছে, ২০১৭–১৮ অর্থবর্ষে গুসকরা পুরসভায় ৯৮৯ জনের অনুদান বরাদ্দ হয়েছে। গৃহ পিছু ৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে উপভোক্তাকে আর মাত্র ২৫ হাজার দিতে হয়। গৃহ তৈরির পর আরও কিছু কাজের জন্য পুরসভা দেবে ১৮ হাজার টাকা। এদিন গুসকরা পুরসভা বৈঠক উপস্থিত ছিলেন শাসকদলের ৭ জন ও বামেদের ৫ জন কাউন্সিলর৷
ছবি: জয়ন্ত দাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.