সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিরাপত্তা নিয়ে বরাবরই বেপরোয়া তিনি। জনগণের কাছের লোক হয়ে সবসময় সাধারণের কাছে চলে যান প্রোটোকলের তোয়াক্কা না করে। কিন্তু, নিরাপত্তাকর্মীদের চোখে ধুলো দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ধারকাছে ঘেঁষতে পারেননি কেউই। এবার ঠিক সেই ঘটনাই ঘটল উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন আচমকাই মঞ্চে উঠে পড়লেন ১ মহিলা! ঘটনায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিরাপত্তাকর্মীদের ভূমিকায় ক্ষোভ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
[‘মেয়েটা এতক্ষণ পড়ে থাকল, কেন জানতে পারলেন না?’, আইসিকে ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর]
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবসময় তাঁকে ঘিরে থাকেন উর্দিধারী মহিলা নিরাপত্তাকর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী যখন কোনও জনসভায় ভাষণ দেন, তখন মঞ্চেও হাজির থাকেন নিরাপত্তারক্ষীরা। মঞ্চে ওঠা তো দুর অস্ত, দর্শকদের কেউ যাতে মঞ্চের কাছে আসতে না পারেন, তারজন্য থাকে বাঁশের ব্যারিকেড। কিন্তু, এত আয়োজন সত্ত্বেও কীভাবে ওই এক মহিলা একেবারে সটান মঞ্চে উঠে পড়লেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে বলছেন, ওই মহিলা যদি আততায়ী হতেন, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর বড়সড় বিপদও হতে পারত। তবে বাস্তবে অবশ্য তেমন কিছুই হয়নি। ঘটনার পর, তড়িঘড়ি তাঁকে ধরে ফেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
[সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি, ২০-২৫ ভরি গয়না নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের]
এখন উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের পর, বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় ভিড় উপচে পড়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জনসভায় তখন বক্তব্য রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, তখনই সকলের অগোচরে বাঁশের ব্যারিকেড টপকে মঞ্চে একেবারে নিচে পৌঁছে যান ২ জন মহিলা। বক্তৃতা শেষ হওয়া মাত্র সটান মঞ্চে উঠে পড়েন ১ জন। ঘটনায় হকচকিয়ে যান সকলেই। অস্বস্তিতে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। প্রাথমিক বিহ্ললতা কাটিয়ে অবশ্য ওই মহিলাকে ধরে ফেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তড়িঘড়ি মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিরাপত্তাকর্মীদের গাফিলতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[ক্লাসরুমে মদের বোতল-চাট, ৩ দিন মালদহের স্কুলে দেদার মোচ্ছব পুলিশের]
কিন্তু, ওই ২ মহিলার পরিচয় কী? কেনই বা তাঁরা এই কাণ্ড ঘটালেন? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই দুই মহিলার নাম আমিরা খাতুন ও রাবেয়া খাতুন। তাঁরা সম্পর্কে দুই বোন। কয়েক বছর আগে তাঁদের বাবা খুন হন। এরপর রায়গঞ্জ হাসপাতালে চাকরিও পেয়েছেন একজন । সরকারি প্রকল্পের বাড়িও পেয়েছেন আমিরা ও রাবেয়া। কিন্তু, তাঁদের বাবার খুনের ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও ধরা পড়েনি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাতে মঞ্চে উঠেছিলেন রাবিয়া। পুলিশের দাবি, এরআগে মালদহ ও গঙ্গারামপুরে জনসভায় একই কায়দায় মঞ্চে ওঠে মুখ্যমন্ত্রী কাছে পৌঁছনোর ছক কষেছিলেন দুই বোন। কিন্তু, তাঁদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি।
[বাবা-কাকিমার পরকীয়া দেখে ফেলার ‘অপরাধ’, কাকার হাতে শ্লীলতাহানির শিকার কিশোরী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.